পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 (t শেষের পরিচয় । বলিলেন, তোমাকে নামধরে ডাকার অধিকার আমায় দিতে পারবে কি তুমি ? সঙ্কোচ কোরোনা। যদি কোনও বাধা থাকে, একটুও আমি দুঃখিত হবন জেনো। শুধু বলে দিও, কি-বলে ডাকলে তোমার মনে দুঃখ বাজবেন বা স্মৃতির দাহ জেগে উঠবেন । আমি তো বেশি কিছু জানিনে । হয়তো না জেনে আঘাত দিচ্চি তোমাকে । সবিতা এবারে উদগত অশ্রু সংবরণ কপ্লিতে পারিলেননা, ঝর করে করিয়া ঝরিয়া পড়িল । তাড়াতাড়ি চোখ মুছিয়া মুখ ফিরাইয়া লইলেন । কি যেন একটা কথা বারংবার বলিবার চেষ্টা করিয়াও লৈ জায় ও দুঃখে৷ কণ্ঠ রোধ হইয়া আসিতে লাগিল । বিমলবাবু আবার বলিলেন, কুষ্ঠিত হোয়ো না । বলো, কি বলে ডাকলে তুমি সহজে সাড়া দিতে পারবে ? সবিতা তথাপি নিরুত্তর রহিলেন । তারপরে বিপুল সঙ্কোচ প্ৰাণপণে ঠেলিয়া মৃত্যুথারে কহিলেন, “আমাকে রেণুপ্ত মা বলে ডেকে । বিমলবাবুর মুখে কোমল সহানুভূতির কারুণ্য পরিস্ফুট হইয়া উঠিল। mDBBD BBDBBSYSDBDD S0 DBBt DDBDDB BDD BBD BDB DDD এই ভেবে, তোমার এতবড় পরিচয়টা এতদিন আমার মনে হয়নি কেন বলোতো ? সবিতা চুপ করিয়া রহিলেন। বিমলবাবু আনন্দমধুর কণ্ঠে বলিতে লাগিলেন, এ যে তুমি কত বড়ো দান আজ আমাকে দিলে, তা’ হয়তো তুমি নিজেও জানোনা রেণুর মা ! তোমার দেওয়া এই সম্মান এই বিশ্বাসের যেন মৰ্য্যাদা রাখতে পারি । আমার আর কোনও কামনা নেই। বিমলবাবু হয়তো আরও কিছু বলিতেন, ট্রেণ ছাড়িবার সঙ্কেতসূচক দ্বিতীয় ঘণ্টা পড়িয়া গেল। হাতঘড়ির পানে চাহিয়া তিনি উঠিয়া