পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yee ব্ৰজবাবুর আপন ভাইপোরা এবং খুড়তুতো ছোট ভাই নবীনবাবু, যাহারা এই দীর্ঘ বারো তেরো বৎসর দেশের বাড়ী ঘর নিশ্চিন্ত হইয়া ভোগদখল করিতেছিলেন, এতদিন পরে সকন্যা ব্ৰজবাবুর দেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন আদৌ প্ৰসন্নচিত্তে গ্ৰহণ করিতে পারেন নাই । গ্রামে ব্ৰজবাবুর নিজের দ্বোতিলা কোঠাবাড়ী, বাগান, পুকুর, জমিজমা সপরিবারে তঁাহারাই এতদিন অধিকার করিয়া বসবাস করিতেছিলেন । যিনি প্রধান সরিক, বলিতে গেলে প্ৰকৃত মালিক আজি হঠাৎ স্বয়ং আসিয়া উপস্থিত, সুতরাং বিচলিত হইবারই কথা। কিন্তু তবুও ব্ৰজবাবুর ভাইপোরা ও খুড়তুতো ভাই নবীনবাবু ব্ৰজবাবুর দেশে আসার প্রতিবাদ । করিতে ভরসা করেন নাই। কারণ, মাত্র কয়েকমাস পূৰ্ব্বে এই ব্ৰজবাবুই তঁহাদের একখানি মূল্যবান তালুক লেখাপড়া করিয়া দান্না করিয়াছেন, যাহার আয় বার্ষিক প্ৰায় হাজার টাকার কাছাকাছি । কিন্তু তাই বলিয়া তঁহারা নিজেদের সংসারে বাসগৃহের অন্তঃপুরে তো ব্ৰজবাবু ও রেণুকে স্থান দিতে পারেননা। সে কারণে অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া যুক্তি-পরামর্শ করিয়া ব্ৰজবাবুকে তাহারা বাড়ীর সদর অংশ ছাড়িয়া দিয়াছিলেন । সদরবাড়ী একতলা কোঠা । দুইখানি বড় বড় ঘর । ঘরের কোলে ভিতর দিক দর দালান, বাহিরের দিকে খোলা রোয়াক । দালানের দুই প্ৰান্তে এক একখানি ছোট ঘর । একখানি চাকরীদের তামাক সাজিবর ও অন্যখানি আলোবাতি রাখিবার ফরাস ঘর। এই লইয়া সদরবাটী ।