পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় Q মনের ভিতরে এমন একটা অহেতুক অভিমান গুমরাইতে লাগিল যাহার কারণ স্পষ্ট নির্দেশ করা কঠিন । রাখাল বলিল,-তুমি নতুন-নার সঙ্গে হরিণপুর যাওনি শুনলাম। সারদা চুপ করিয়া রহিল। উত্তর না পাইয়া রাখাল পুনরায় বলিল,-কেন গেলেনা জানতে পারি কি ? সারদা তথাপি নিরুত্তর । রাখাল কহিল-নতুন-মাকে একলা না পাঠিয়ে তঁর সঙ্গী হওয়া তোমার উচিত ছিলনা কি ? সারদা কোনই উত্তর দেয়না দেখিয়া রাখালের মনের মধ্যে উত্তাপ উত্তরোস্তুর বাড়িতেছিল। মৌনতা ভাঙাইবার জন্যই বোধহয় এবার বলিয়া বসিল-আমার ঋণ তো সেদিন কড়ায় গণ্ডায় শোধ করে দিয়েচ, সুতরাং কথার উত্তর না দিলেও চলে, কিন্তু নতুন-মারি ঋণও এরই মধ্যে শুধ ফেলেচ নাকি সারদা ? সারদার মুখে বেদনার চিহ্ন সুস্পষ্ট হইয়া উঠিল। তবুও সে এই কঠিন উপহাসের উত্তর দিলন। মৃদুকণ্ঠে বলিল —আপনার যা” বলবার আছে ঘরে এসে বলুন। এখানে দাড়িয়ে হাটের মাঝখানে বলবেন না । ঘরে গিয়ে বসুন। আমি এখুনি আসছি। চলে যাবেননা, আমার অনুরোধ রইলো । কথাগুলি বলিতে বলিতেই সারদা মুহূৰ্ত্ত মধ্যে রোয়াকের অন্য পাশে বেড়া দেওয়া অপর ভাড়াটেদের অংশে অন্তহিঁত হইয়া গেল। বিরক্ত রাখাল তাহার উদ্দেশে ব্যস্ত সুরে বলিতে লাগিল-না ; না, বসবার আমার মোটেই সময় নেই। এখুনি যেতে হবে। যা বলতে এসেছিert S