পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৬৮

§ මළු শেষের পরিচয় কিন্তু সারদা তখন চলিয়া গিয়াছে ৷ রাখাল অল্পক্ষিণ উঠানে দাড়াইয়া চলিয়া যাইবে কি আরও একটু অপেক্ষা করিবে দ্বিধা করিতে লাগিল । অবশেষে বিরক্ত চিত্তে সারদার ঘরে গিয়া বসিয়াই পড়িল । পাচজনের বাড়ীর মাঝে চোইয়া সারদকে বারবার ডাকাও যায়না, দাড়াইয়া থাকাটা আরও অশোভন । রাখাল ঘরে গিয়া বসিবার একমিনিটের মধ্যেই সারদা ক্ষুদ্র এলুমিনিয়ম কেট্‌লীর হাতলে শাড়ীর আঁচল জড়াইয়া মুঠ করিয়া ধরিয়া ঘরের মধ্যে প্ৰবেশ করিল। ঢাক্‌নী চাপা দেওয়া কেট্‌লী হইতে অল্প অল্প গরম ধোঁয়া বাহির হইতেছিল। ঘরের কোণে কোটুলী নামাইয়া রাখিয়া দ্রুত হস্তে জানালার মাথায় তাকের উপর হইতে একটি ধবধবে শাদা পাতলা কাচের পেয়াল পিরিচ এবং একখানি নূতন চামচ নামাইল । ক্ষুদ্র চায়ের টিনও একটা নামাইল । চায়ের টিনটি একেবারে নূতন, প্যাক খোলা হয় নাই । সারদা লেবেল ছিড়িয়া ক্ষিপ্ৰহস্তে চীন খুলিয়া ফেলিয়া কেটলীর জলে চাপাতা ভিজাইয়া ঢাকনী চাপা দিল। তারপর পেয়ালা পিরিচ ও চানাচ বাহির হইতে ধুইয়া আনিল এবং সেই সঙ্গে লইয়া আসিল কাগজের মোড়কে চিনি ও ক্ষুদ্র কঁাসার গ্ল্যাসে টাটকা দুধ। চৌকিতে বসিয়া রাখাল নিঃশব্দে সারদার কাৰ্য্যকলাপ দেখিতেছিল। বেলা হইয়াছে যথেষ্ট অথচ চা পান করা হয় নাই । মাথাটি বেশ ধরিয়া উঠিবার উপক্রম হইয়াছে। সুতরাং সারদার চায়ের আয়োজন দেখিয়া তাহার বিরক্তি ও অভিমান অনেকখানিই কাসিয়া গিয়াছিল । তথাপি সন্ত্রম বজায় রাখিবার জন্যই বলিল-এত সমারোহ করে চা তৈরি ३'tbछ जूiद्ध अछि ? সারদা পেয়ালায় চা ছাকিতে ছাকিতে মৃদু হাসিয়া ঘাড় ফিরাইয়া একবার রাখালের পানে তাকাইল । তারপর আবার নিজের কাজে মন দিল ।