পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় ૨૭8 মনে মনে লজ্জিত হইলেও রাখাল তখন বলিতে পারিল ন-আমি উহা খাইবনা। সারদা ততক্ষণে দুধ চিনি মিশ্রিত সোনালী বৰ্ণ গরম চায়ে চামচ নাড়িতে নাড়িতে পিরিচ। সমেত পেয়ালাটি রাখালের সামনে তুলিয়া 邸忆豆目 লাইতে ঈষৎ ইতস্ততঃ করিয়া রাখাল বলিল-এর জন্য এতক্ষণ আমাকে অপেক্ষা করিয়ে রাখা তোমার উচিত হয়নি। সারদা। কিছু দরকার ছিলনা। এর । সারদা নিতান্ত নিরীহের মত মুখ করিয়া কহিল-আমি তা” জানতামনা । আচ্ছ। তবে থাক, ফিরিয়ে নিয়ে যাই । ঠোঁটের প্রান্তে চাপা দুষ্ট হাসি। রাখাল ঐ হাসি চেনে । তাহার বুকের মধ্যে কঁাপিয়া উঠিল। হাত বাড়াইয়া বলিল-নাঃ, করেইছ যখন আমার নাম করে, ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া ঠিক হবেনা। সারদা এইবার ঠোঁট টিপিয়া হাসিতে হাসিতে চায়ের পেয়ালা হাতে তুলিয়া দিয়া নিঃশব্দে বাহির হইয়া গেল। অল্প একটু পরে শাদা কাচের একখানি প্লেটে খান কয়েক গরম শিঙাড়া ও গোটা দুই টাটুকী রাজভোগ রসগোল্লা লইয়া ফিরিয়া আসিল। রাখাল প্লেটের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া কহিল-ওসব আবার আনালে কেন সারদা ? সারদা গম্ভীর মুখে বলিল-চায়ের সঙ্গে জলযোগের জন্য। কিন্তু চায়ের পেয়ালাটি যে খালি করে দিতে হবে এবার । আর এক পেয়ালা চা আপনাকে ছেকে দেব । আমার অন্য পেয়ালা আর নেই। রাখাল এবার আর আপত্তি তুলিলন। এক নিশ্বাসে অবশিষ্ট চা। টুকু পান করিয়া লইয়া পেয়ালাটি মেঝেয় নামাইয়া দিল। তাহার পর নিৰ্বিবাদে তুলিয়া লইল খাবারের প্লেটখানি। সারদা দ্বিতীয় পেয়ালা চা লইয়া সম্মুখে আসিয়া দাড়াইলে রাখাল