পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় RS8 সারদা তরকারি কুটিতে কুটিতে বলিতেছিল, বিমলবাবুকে দেবতা আজি টেলিগ্ৰাম করতে গিয়েছেন, কলকাতা থেকে ভাল ডাক্তার নিয়ে এখানে আসবার জন্য। বোধকরি। কালকের মধ্যেই তিনি ডাক্তার সঙ্গে নিয়ে এসে পড়বেন । রেণুর দৃষ্টিতে বিস্ময় প্রকাশিত হইলেও মুখে কোনো প্রশ্ন নিঃস্থত झुछ्रेलना । সারদা বলিতে লাগিল, বিমলবাবু এসে পড়লে অনেকটা ভরসা পাওয়া যাবে। উপযুক্ত চিকিৎসা ওষুধ, পথ্য সমস্তই ব্যবস্থা হবে। কাকাবাবু এইবারে শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবেন। রেণু এইবার জিজ্ঞাসুন্নয়নে সারদার পানে তাকাইল । সারদা তখন আপন মনে বকিয়া চলিয়াছে,-অমন মানুষ কিন্তু সংসারে দুটি দেখলাননা রেণু। যেমনি সদাশয়, তেমনি অমায়িক । শুনেচি তিনি কোটীপতি, লক্ষ লক্ষ টাকা খাটছে তার দেশ বিদেশের ব্যবসায়ে, কিন্তু এমন নিরহঙ্কার সহজ-বিনয়ী মানুষ কোথাও দেখিনি এর আগে ৷ যথার্থ যাকে শিবতুল্য বলে। এমন না হলে বিধাতা এত ঐশ্বৰ্য্য দেবেনই বা কেন ? কথায় বলে-মনের গুণে ধন। বিমলবাবুর ধনও যেমন, মনও তেমনি । নিৰ্বাক রেণু তখন গোবিন্দজীর ভোগ রন্ধন শেষ করিয়া পিতার পথ্য প্ৰস্তুত করিতেছে। মৌন থাকিলেও সে যে মনোযোগ সহকারেই সারদার মন্তব্যগুলি শুনিতেছিল তাহা স্পষ্ট বুঝা যায়। সারদার বাক্যস্রোতে যেন উচ্ছাস আসিয়াছে। সে বলিতে, লাগিল বিমলবাবু সেদিন আমাদের সকলকে রক্ষা করেছিলেন পথে দাড়ােনর লজ্জা থেকে । সে-দুদিনের কথা মনে পড়লে আজও আমার চোখে অন্ধকার