পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩২০

లి (; শেষের পরিচয় একটু চুপ করিয়া থাকিয়া বিমলবাবু বলিলেন,-বিবাহযোগ্য সৎপাত্র কেউ আমার বংশে থাকলে, তাকে আমার সমস্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকারী করে রেণুকে আমি পুত্রবধুরূপে নিয়ে যেতাম। কিন্তু সেরকম আপনজন কেউ নেই আমার। দূরসম্পর্কে যারা আছে, তারা আমার রেণুৰ্মা’র উপযুক্ত পাত্র নয়। কাজে কাজেই আমি স্থির করেছি। সোজাসুজি ওকে আমার দস্তুক-কন্যারূপে গ্ৰহণ করবো। রেণুমাকে উপযুক্ত সাৎপাত্রে দান করার ভার এবং ওর ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে ভাবনার দায়িত্ব সমস্ত আমি তুলে নিলাম,--আপনার আর নয়। ব্ৰজবাবু দীর্ঘশ্বাস মোচন করিয়া চক্ষু মুদ্রিত করিলেন। জবাব দিলেননা। তঁহার মুখমণ্ডলে ইচ্ছা বা অনিচ্ছার কোনও রেখাই ফুটিয়া উঠিলনা। যেমন নিৰ্বাক ছিলেন তেমনই রছিলেন। এ দুপুরবেলায় রাখাল বিমলবাবুকে একটু অন্তরালে ডাকিয়া লইয়া গিয়া অতিশয় গম্ভীর মুখে বলিল, আপনার সঙ্গে একটু পরামর্শ আছে। বিমলবাবু জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাইলে রাখাল বুকপকেট হইতে ডাকঘরের মোহরাঙ্কিত একখানি পোষ্টকার্ড বাহির করিয়া বলিলপড়ে দেখুন। বিমলবাবু কাৰ্ডখানি হাতে লইয়া একবার চোখ বুলাইয়া নাম সহি লক্ষ্য করিলেন- “মঙ্গলাকাঙ্ক্ষী শ্ৰীহেমন্তকুমার মৈত্র।” বলিলেন, ইনি কে রাজু? চিনতে পারলামনা তো । --কাকাবাবুর এ-পক্ষের শ্যালক । আমাদের শকুনী-মানা। নাম শোনেননি। কি ? -ওঃ, ইনিই ব্ৰজবাবুর কারবারের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন না ? -ই। শুধু কারবারের কেন, বিষয়-আশয়ের, ঘর-সংসারের,