পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sys sy শেষের পরিচয় সবিতা আর প্রশ্ন করিলেন না। তাহার প্রশান্ত মুখমণ্ডলে চিন্তার কালো ছায়া ঘনাইয়া উঠিল । কিছুক্ষণ বাদে সবিতা প্রশ্ন করলেন, আজ যখন তুমি গেলে, সে তখন কি করছিল ? উলের টুপি বুনিছিল। সবিতার মুখে বেদনার চিহ্ন সুস্পষ্ট হইয়া উঠিল । ক্লিষ্ট কণ্ঠে কহিলেন, আমি চেষ্টা করেছিলাম রাজুকে দিয়ে ওর ঐ উলের সামগ্রী কিনবার। সে রাজুকে বেচৰতে চায়নি । কেন মা ? রাজু যে-দামে ওকে বেচে দিতে চেয়েছিল, ও সে-দাম নিতে রাজি হয়নি। বলেছিল। এ তোমাদের সাহায্য করার ফন্দি । সারদা স্তব্ধ হইয়া রহিল। সবিতার শান্ত গম্ভীর মূৰ্ত্তির পানে তাকাইয়া মনে মনে ভাবিতে লাগিল ঐ স্থির প্রশাস্তির অন্তরালে কী বিক্ষুব্ধ ঝটিকাই না বহিয়া চলিয়াছে। সংসারে কেণ্ঠই তাহার সন্ধান জানেন । সারদা বলিল, মা, শুনেছিলাম, রেণুর জন্য একটি ভাল ডাক্তার পাত্রের সন্ধান এনেছিলেন দেবতা । সে সম্বন্ধের কি উদগত। দীর্ঘশ্বাস চাপিয়া সবিতা বলিলেন, না সে হ’লন । মেয়ে বিয়ে করবেনা পণ করেচে । সারদা,আস্তে আস্তে বলিল, এমন বুদ্ধিমতী মেয়ে হয়েও সেতাহার কথা শেষ হইবার পূর্বেই সবিতা বলিলেন, সে নাকি বলেচে, হিন্দুর মেয়ের দু’বার গায়ে হলুদ হয়না । বাগদত্ত মেয়েও বিবাহিতারই সামিল। আমার বিবাহের ব্যাপার বাগদানের পর অনেকদূর পর্য্যন্ত এগিয়েছিল । এখন আবার দু’বার করে সে ব্যাপারগুলো তোক