পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిచి শেষের পরিচয় দুপুরে "আজ রাখাল আসিয়াছিল। সাবতী বিপন্ন স্বামী ও কন্যার সকল সংবাদই জানিতে পারিয়াছেন । সমস্তদিনটা যেন অসাড়তার মধ্য দিয়া ছায়ার মত কাটিয়া গিয়াছে, রাত্রির স্তব্ধ নিৰ্জন অবকাশে বেদনাভারাতুর অন্তরতলে কতকটা যেন সাড় ফিরিয়া আসিতেছে। নিমীলিত নয়নদ্বয়ের অবিরল বিগলিত অশ্রুধারায় কঠিন কক্ষতল এবং অন্যত্নবদ্ধ কোমল চুলের রাশি ভিজিয়া উঠিতে লাগিল। কোনও শব্দ । নাই, চাঞ্চল্য নাই, নিষ্পন্দদেহে প্রসারিত বাহুর ”পরে মাথা রাখিয়া, মাটীতে একপাশ্ব হইয়া পড়িয়া আছেন। উপায়ীন ক্ষতির ক্ষোভে র্তাহার সমস্ত হৃদয় মন আজ কাতর ও বিকল । কোনও সাস্তুনাই আর খুজিয়া পাইতেছেন না! আপনি সন্তানের এই দুঃখ ও কৃচ্ছসাধন তাহাকে অহরহ যেন অগ্নিকশার আঘাতে জর্জরিত করিয়া তুলিতেছে । সমস্ত অন্তর ক্ষতবিক্ষত হইয়া গেলেও বেদনায়ু আৰ্ত্তনাদ করিবার উপায় কই ? বলির পশুর মতই রক্তাক্ত দেহে ধূলায় পড়িয়া ধড়ফড় করা छाछु। *ाठि •ाiश्ले ! আজ তাহার তৃষিত মাতৃহৃদয় দুই বাহু বাড়াইয়া যাহাকে বুকের মধ্যে টানিয়া লইবার জন্য ব্যাকুল, হৃদয় নিঙড়ানো অফুরন্ত মেহরসে যাহাকে অভিসিঞ্চিত করিয়াও তৃপ্তি নাই, সংসারে সে-ই আজ তঁাহার সবার বাড়া পর, সবার বেশি দূরের মানুষ হইয়া গিয়াছে। পরিপূর্ণ যৌবনের উচ্ছসিত বসন্তদিনে যখন জীবন স্বতঃই আনন্দ পিপাসাচুর, তাহাকে সেদিন উহা সম্পূর্ণ একাকী নিঃসঙ্গ বহন করিতে হইয়াছে। না মিলিয়াছে অন্তরের অন্তরঙ্গ সাথী, না পাইয়াছেন যৌবনের প্ৰাণবন্ত সহচর। সেই একান্ত একাকীত্বের মাঝে হঠাৎ একদিন কোথা হইতে কী যে আকস্মিক বিপ্লব হইয়া গেল তােহা নিজেও স্পষ্ট বুঝিতে পারেন নাই । যখন চৈতন্য হইল, আশে-পাশে চাহিয়া দেখিতে পাইলেন, সমগ্র