পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ඊ S শেষের পরিচয় না, এখনো ঘণ্টা দুই দেরি । তারক গোড়ায় দুই একটা ছাড়া আর কথা কহে নাই, উভয়ের কথোপকথন মন দিয়া শুনিতেছিল । যে অজানা মেয়েটির অশুভ, অমঙ্গলময় বিবাহ-সম্বন্ধ ভাঙিয়া দিবার সঙ্কল্প তাহারা গ্ৰহণ করিয়াছে, সে কেমন দেখিতে, জানিতে তাহার আগ্রহ ছিল, কিন্তু ব্যগ্ৰতা ছিলনা, কিন্তু, এই যে রাখাল বর্ণনা করিলনা, শুধু অনুযোগের কণ্ঠে মেয়েটির রূপের ইঙ্গিত করিল, সে যেন তাহার অন্ধকার অবরুদ্ধ মনের দশ দিকের দশখানা জানালা খুলিয়া আলোকে আলোকে চকিত চঞ্চল করিয়া দিল। এতক্ষণ সে যেন দেখিয়াও কিছু দেখে নাই, এখন মায়ের দিকে চাহিয়া অকস্মাৎ তাহার বিস্ময়ের সীমা রহিলন । নতুন-নার বয়স পঁয়ত্রিশ-ছত্রিশ। রূপে খুৎ নাই তা’ নয়, সুমুখের দাত দুটি উচু, তাহা কথা কহিলেই চোখে পড়ে। বর্ণ সত্যই স্বর্ণচাঁপার মতো, কিন্তু হাত-পায়ের গড়ন ননী মাখনের সহিত কোন মতেই তুলনা করা চলেন । চোখ দীর্ঘায়ত নয়, নাকিও বঁাশী বলিয়া ভুল হওয়া অসম্ভব ; কিন্তু একহারা দীর্ঘচ্ছন্দ দেহে সুষমা ধরেন । কোথায় কি আছে না। জানিয়া অত্যন্ত সহজে মনে হয় প্রচ্ছন্ন মৰ্য্যাদায় এই পরিণত নারী-দেহটি যেন কানায়-কানায় পরিপূর্ণ। আর সব চেয়ে চোখে পড়ে নতুন-মার আশ্চৰ্য্য কণ্ঠস্বর। মাধুৰ্য্যের যেন অন্ত নাই। তারকের চমক্‌ ভাঙ্গিল নতুন-মারি জিজ্ঞাসায় । তিনি হঠাৎ যেন ব্যাকুল হইয়া প্রশ্ন করিলেন, রাজু, তোমার কি মনে হয় বাবা এ বিয়ে বন্ধ করতে পারবে ? | cन कथi gड दवा धांधन भां । তোমার কাকাবাবুকি কিছুই দেখবেন না ? কোন কথাই কানে তুলবেন না ? ?