পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় Siya o পোষ্ট অফিসের পাশ বহিতে জমার ঘর শূন্য হইয়া আসীিমাছে , খাবারের দোকানে, মুদ্দীর দোকানে এবং গোয়ালার কাছে কিছু །འི་ 4টাকা বাকি পড়িয়ছে । যদিও সে, আজকাল স্মার নিজের পোষাক পরিচ্ছদের সৌখীিন বিলাসে একেবারেই মনোযোগী নয়,--তবুও দর্জি ও ধোবার বিল বোধহয় বেশ কিছু জমিয়াই আছে। Y: . নীলুর ডাকে রাখাল উঠিয়া মুখ ধুইতে ধুইতে বলিল,-নীলুখুড়ো, ষ্টেীভ টা ধরিয়ে লক্ষ্মী ছেলের মত চায়ের জলটি চড়িয়ে দাও দিকি । নীলু, ঘরের সম্মুখে দালানে এটোবাসন দেখিতে না পাইয়া বিস্মিত চইয়া রাখালের নিকটে অঙ্গসিয়াছিল। উদ্বিগ্নম্বরে জিজ্ঞাসা করিল, বাবু? আপনার কি অসুখ করেচে ? * রাখাল তাহার মুখের পানে তাকাইয়া বলিল-কে বললে রে ? --কিছু খাননি যে ! রাখাল হাসিয়া বলিল, না, অসুখ করেনি । এমনিই আজ খাইনি । তুমি এখন একটা কাজ করে তো নীলুখুড়ো ! চায়ের জলটা চড়িয়ে দিয়ে ঐ মোড়ের দোকান থেকে গরম শিঙাড়া কিছু নিয়ে এসে । চায়ের जछ थig:ां श्रigद । নীলু ষ্ট্রোভ জালিয়া চায়ের জল বসাইয়া খাবার আনিতে চলিয়া গেল, রাখাল চা তৈয়ার করিতে বসিল । একবার মনে হইল, এত হাঙ্গামা না করিয়া সারদার কাছে গিয়া বলিলেই ত’ হয়—আজি অসময়ে ঘুমাইয়া পড়িয়াছিলাম। ভাত খাইতে ভুল হইয়া গিয়াছে। ব্যস্, তার পরে আর কিছু ভাবিতে হইবেন । কল্পনায় সারদার স্তম্ভিত ক্রুদ্ধ মুখের অন্তরালে যে ব্যাকুল স্নেহের ংগুপ্তরূপ রাখালের চোখে ভাসিয়া উঠিল, তাহা স্মরণ করিয়া বুকের ভিতর হইতে একটি গভীর দীর্ঘশ্বাস বাহির হইয়া আসিল । না, সারদার