পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిచి " শেষের পরিচয় উত্তরোত্তর জমিয়া উঠিতেছে, আপনি উন্নতির একান্ত চেষ্টা লইয়াই সে অহোরাত্র নিমগ্ন । 参 বিকালবেলায় সবিতা ভাড়ার ঘরে কুটুনা কুটিতে বসিয়া একখানি ডাকের চিঠি খুলিয়া নীরবে পাঠ করিতেছিলেল। তঁহার মুখে বিস্ময় ও বেদন বিমিশ্র সকরুণ হাসির রেখা। বিমলবাবু সিঙ্গাপুর হইতে লিখিয়াছেন,— সবিতা, সারদা-মায়ের সংক্ষিপ্ত পত্রে জানিলাম, তোমার স্বাস্থ্য খুবই খারাপ হইয়াছে। অথচ এ সম্বন্ধে তুমি নাকি সম্পূর্ণ উদাসীন। সারদ-ম! জানাইয়াছেন, সময় থাকিতে সাবধান না হইলে সত্বর’কঠিন ব্যাধিতে তোমার শয্যাশায়িনী হওয়ার সম্ভাবনা ৷ তুমি তো জানো, ভগ্নস্বাস্থ্য লইয়া, অকৰ্ম্মণ্য জীবন বহন করার দুঃখ, মৃত্যুরও অধিক। আমার আশঙ্কা হইতেছে, এভাবে চলিলে তুমি হয়তো সেই অতি দুঃখময় জীবন বহন করিতে বাধ্য হইবে। 海 কাহারও ইচ্ছার উপরে হস্তক্ষেপ করা আমার প্রকৃতি নয়। তোমার ইচ্ছার উপর তাই আমি নিজের ইচ্ছা প্ৰকাশ করিতে কুষ্ঠিত হই। হিতার্থী বন্ধুহিসাবে তোমাকে স্মরণ করাইয়া দিতেছি,-অতিরিক্ত মানসিক সংঘাতে তুমি এতদূর বিচলিত হইয়াছ যে, জীবিত মানুস্যের পক্ষে স্বাস্থ্য যে কত বেশি প্রয়োজনীয়, তাহাও বিস্মৃতি হইয়াছ। অন্তগুঢ় মৰ্ম্মবেদনায় আত্মসংবিৎ হারাইয়া দেহের উপর অযথা অবজ্ঞা করা ঠিক নয়। এ ভুলও ভবিষ্কাতে একদিন মানুষ আপনিই বুঝিতে পারে। কিন্তু তখন হয়তো এত বিলম্ব হইয়া যায় যে, প্ৰতিকারের উপায় থাকেন । তাই আমার অনুরোধ, শরীরের অযত্ন করিওন। সৰ্বশেষে 'লিথিয়াছেন,-“তারকের বিবাহের কথা সম্ভবতঃ সে তোমার্কে জানাইয়া থাকিবে। এ বিবাহে তোমার মতামত কি