পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ర్కిలి শেষের পরিচয় সবিতা একটু চিন্তা করিয়া বলিলেন, আমি কিছুদিন তীর্থভ্ৰমণে বেরুবে মনে করেছি,-তুণি যাবে আমার সঙ্গে ? সারদা উৎসাহিত কণ্ঠে কহিল, হঁ্যা মা—ঘাবো। একমাতৃ কাশী ছাড়া আমি জীবনে আর কোনও তীর্থে যাইনি। গয়ায় একবার গিয়েছিলাম বটে, সে-খুব ছোট্ট বেলায়, এগারো-বারো (বছর বয়সে ৷ স্বামীর পিণ্ড দান করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন বাবা । কথাটা শুনিয়া সবিতা যথেষ্ট বিস্মিত হইলেন, কিন্তু কিছু বলিলেন না। সারদা বলিল, কবে আমাদের যাওয়া হবে মা ? --তারকের বিয়েটা চুকে যাঙ্ক । তারপরে কলকাতার বাসা একেবারে তুলে দিয়ে চলে যাব ভাবচি। সারদা বলিয়া উঠিল, আমাকেও সঙ্গে রাখবেন ত ? --না, মা, তোমাকে কলকাতায় আবার ফিরতেই হবে । -কেন মা ? সারদার কণ্ঠস্বরে উদ্বেগ ধ্বনিত হুইয়া উঠিল । —তুমি যে-প্রয়োজনে শিক্ষা নিচ্ছ সে যে শেষ হয়নি মা । ফিরে এসে বোর্ডিংএ থেকে শিক্ষা সম্পূর্ণ করে তারপরে আমার কাছে গিয়ে থাকবে। সারদা স্তব্ধ হইয়া দাড়াইয়া রহিল । কিছুক্ষণ চিন্তা করিয়া স্নানকণ্ঠে ধীরে ধীরে বলিল, আমার তীর্থভ্ৰমণে গিয়ে কাজ নেই মা । সবিতা বলিলেন, কেন ? দেশ দেশান্তরে ঘুরে এলে অনেক কিছুই জানতে পারবে, শিখতে পারবে । সারদা মাথা নাড়িয়া বলিল,-না মা, যাবোনা । তারা যদি আমায় দেখে ফেলে । -সবিতা বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন,-সে। কি ! সে আবার করা ? সারদা অত্যন্ত কুষ্ঠিত হইয়া বলিল, আমার বাপের বাড়ীর লোকেরা।