পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় তার রাগ नृ, ঘুণা নয়, মারি ওপর অভিমান ! মেয়ে যে আমার ছোটবেলা থেকেই ভারি অভিমানী ! বিমলবাবু দীর্ঘ নিশ্বাস চাপিয়া অন্যদিকে তাকাইয়া রহিলেন । 8 obr যথাসূত্নস্তাঘ দ্রুত তঁাহারা বৃন্দাবনে ব্ৰজবাবুর বাসায় আসিয়া পৌছিলেন। ? দড়ির খাটিয়া ও গেরুয়াধাৱী বৈষ্ণবদল দেখিয়া বিমলবাবু শঙ্কিত নেত্ৰে সবিতার পানে তাকাইলেন। স্থির ধীর মুখের পরে আর সে চাঞ্চল্য ও উদ্বেগ ব্যাকুলতার লেশমাত্ৰ নাই। সেখানে গাঢ় বিষগ্রাভ অথচ অতিশয় কঠিন একটি যবনিকা নামিয়া আসিয়াছে। বিমলবাবু চমকিয়া উঠিলেন। মনে পড়িল, সর্বপ্রথম যেদিন তিনি সবিতাকে দেখিয়াছিলেন, সেদিন সবিতার মুখে এই রকম আশ্চৰ্য্য কঠিন, অথচ নিগুঢ় বিষাদ-ব্যঞ্জক ছায়া দেখিতে পাইয়াছিলেন। সবিতা এতটুকুও অস্থিরতা প্ৰকাশ করিলেননা। মোটর হইতে নামিয়া বাসার ভিতরে চলিয়া গেলেন। সদ্য শোকাহত ব্ৰজবাবু অশ্রু-ভগ্ন কণ্ঠে বলিলেন-এসেচে। নতুন-বৌ! এরা সব ব্যস্ত হয়েচেন রেণুকে নিয়ে যাবার জন্য । আমি বলেচি, তা’ হয়না । যার ধন সে আসুক, তারপরে তোমরা যা’ খুসি কোরো। তোমার গচ্ছিত সামগ্ৰী আমি রাখতে পারলাম না, হারিয়ে ফেললাম!! আমাকে মাপ করতে পারবে কি ? . সবিতা কথা কহিলেননা। কম্পিত অধর প্রাণপণে দাতে চাপিয়া নিৰ্বাকমুখে অপরিচ্ছন্ন মেঝের একপাশে বিছানাটির পানে তাকাইয়া রছিলেন। ভূমিতলে মলিন শয্যায় মলিন বস্ত্রাবৃত নিম্পন্দ শীতলদেহ পড়িয়া আছে। আশে-পাশে জলের লোটা, চরণামৃতের ভাণ্ড, কবিরাজী বড়ি, খাল মুড়ি-প্রভৃতি ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত । সবিতা অগ্রসর হইয়া কম্পিত হস্তে শবদেহের মুখ হইতে, মলিন