পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪১৫

শেষের পরিচয় 3S ব্ৰজবাবুর নৈশাহারের জন্য । পরণের শাড়ীখানি অতিশয় মলিন, স্থানে স্থানে তেল, ঘি, কালি ও কাদার দাগ লাগিয়াছে । মাথার সীথি এলেমেলো অস্পষ্ট, রুক্ষ কেশপাশে ছোট-ছোট জটু বাধিয়াছে। বিমলবাবু আসিয়া দাড়াইলেন। সবিতা, মুখ উঁচু করিয়া বলিলেন, তুমি আর কতদিন এখানে থাকবে বিমলবাবু বলিলেন, যতদিন বলে । সবিতা বলিলেন, ছোট-গিন্নি আসছেন। আজ । বোধহয় তঁর আসার আগেই আমার এখান থেকে চলে যাওয়া উচিত। কি বল ? বিমলবাবু বলিলেন, সে তুমি নিজে বিবেচনা করে দেখ। সবিতা বলিলেন, কিন্তু, আমি যে বুঝতে পাচ্চি, তারা একে শাস্তিতে ঋ:কতে দেবেন। এখান থেকে একে কলকাতায় টেনে নিয়ে যাওয়ার नgव्नtदछ्रे क्षामgछ । ধিমালবাবু বলিলেন, তাতে ক্ষতি কি ? পবিতা মাথা নাড়িয়া বলিলেন, তা হয়না । এই অসহায় অক্ষম রোগে শোকে জীৰ্ণ মানুষটাকে তার শেষ আশ্রয় বৃন্দাবন থেকে টেনে নিয়ে যা ওঠার মত নিষ্ঠুরতা আর হতে পারেনা। অন্তরের টান থাকলে ছোট গল্প। এইখানে থেকেই, স্বামীর সেবা করতেন । বিমলবাবু চুণা করিয়া ব্লছিলেন। সবিতা বলিলেন, এই ধূলোময়লার দেশে তোমার খুবই কষ্ট হচ্চে, ফুক্ষতে পাচ্চি। তুমি ফিরে যাও। আমি এইখানেই রয়ে গেলুম। বিমলবাবু বলিলেন, আচ্ছ। বিমলবাবু চলিয়া যাইতেছিলেন, পিছন হইতে সবিতা ডাকিলেন, ー("cm。 R