পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় ♥ ክን” নতুন-মা ঘাড় নাড়িয়া জানাইলেন, হী, সত্য । ব্ৰজবাবুর চিন্তার সীমা রহিলন। অনেকক্ষণ নিঃশব্দে কাটিলে বলিলেন, তা’হলেও উপায় নেই। রেণুর আশীৰ্বাদ, গায়ে-হলুদ পৰ্য্যন্ত হয়ে গেছে, পশু বিয়ে, একদিনের মধ্যে আমি পাত্ৰ পাবো কোথায় ? নতুন-মা আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিলেন, তুমি তো নিজে পাত্র খুঁজে আনোনি মোজকৰ্ত্তা, যারা এনেছিলেন। তঁদের হুকুম করে। ব্ৰজবাবু বলিলেন, তারা শুনবে কেন ? তুমি তো জানো নতুন-বোঁ, হুকুম করতে আমি জানিনে,-কেউ আমার তাই কথা শোনেন । তারা তো পর, কিন্তু তুমিই কি কখনো আমার কথা শুনচো আজি সত্যি ক’রে ৰলো দিকি ? হয়ত’ বিগত দিনের কি একটা কঠিন অভিযোগ এই উল্লেখচুকুর মধ্যে গোপন ছিল সংসারে এই দুটি মানুষ ছাড়া আর কেহ তাহা জানেননা । নতুন-মা উত্তর দিতে পারিলেননা, গভীর লজ্জার মাথা হােঁট করিলেন। কয়েক মুহূৰ্ত্ত নীরবে কাটিল । ব্ৰজবাবু মাথা নাড়িয়া অনেকটা যেন নিজের মনেই বলিয়া উঠিলেন, অসম্ভব। রাখাল মৃদুকণ্ঠে প্রশ্ন করিল, অসম্ভব কি কারণে কাকাবাবু? ব্ৰজবাবু বলিলেন, অসম্ভব বলেই অসম্ভব রাজু। নতুন-বেী জানেন, জানিবার কথাও নয়, কিন্তু তুমি তো জানো। তঁহার কণ্ঠস্বরে, চোথের দৃষ্টিতে নিরাশা যেন ফুটিয়া পড়িল । অন্যথার কথা যেন তিনি ভাবিতেই পারিলেননা । নতুন-মা মুখ তুলিয়া চাহিলেন, বলিলেন, নতুন-বেী তো জানেনা, তাকে বুঝিয়েই বলোনা মেজকৰ্ত্তা, অসম্ভব কিসের জন্তে ? রেণুর মা নেই, তুর ৰাপ আবার যাকে বিয়ে করেছে তার ভাই চায় পাগলের হাতে মেয়ে দিতে।--তাই অসম্ভব ? কিছুতেই ঠ্যাকানো যায়না। এই কি তোমার