পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় g নতুন-মা বিস্ময়াপন্ন হইলেন,-কেন বাবা, কোথাও কি খুব জরুরি কাজ আছে ? রাখাল বলিল, না, কাজ তেমন নেই,-কিন্তু আমি বলি আজ থাক । কিন্তু মেয়েটাকে যদি বঁাচানো যায়। সে তো আজই দরকার রাজু। অন্যদিনে তো হবেন । বলা কঠিন। রাখাল সঙ্কোচ ও কুণ্ঠায় বিপন্ন হইয়া উঠিল, শেষে মৃদু-কণ্ঠে বলিল, মা, আমি ভাবচি পাছে রমণীবাবু কিছু মনে করেন। শুনিয়া নতুন-মা হাসিলেন, ওঃ-তাই বটে। কিন্তু, কে-একটালোক কি-একটা মনে করবে বলে মেয়েটা মারা যাবে বাবা ? বড় হয়ে তোমার বুঝি এই বুদ্ধি হয়েছে ! তাছাড়া শুনলে তো তিনি বাড়ী নেই, পুলিশ-হাঙ্গামার ভয়ে পালিয়েছেন। হয়ত, দু-তিন দিন আর এ-মুখে ३gदन्tन्म । রাখাল আশ্বস্ত হইলনা। ঠিক বিশ্বাস করিতেও পারিলনা, প্ৰতিবাদও করিলেন । ইতিমধ্যে গাড়ী আসিয়া দ্বারে পৌছিল । দেখিল তাহার অনুমানই সত্য। একজন প্রৌঢ় গোছের ভদ্রলোক উপরের বারান্দায় থামের আড়ালে দাড়াইয়া প্ৰতীক্ষা করিতেছিলেন, দ্রুতপদে নামিয়া আসিলেন । রাখাল মনে মনে প্ৰমাদ গণিল । তঁহার চোখে-মুখে-কণ্ঠস্বরে উদ্বেগ পরিপূর্ণ, কহিলেন, এলে ? শুনেচে তো জীবনের স্ত্রী কি সর্বনাশ কথাটা সম্পূর্ণ হইলনা, সহসা রাখালের প্রতি চোেখ পড়িতেই থামিয়া গেলেন। নতুন-মা বলিলেন, রাজুকে চিনতে পারলেন ? তিনি একমুহূৰ্ত্ত ঠাহর করিয়া বলিয়া উঠিলেন, ও:-রাজু। আমাদের রাখাল । বেশ,-চিনতে পারবোনা ? নিশ্চয়। রাখাল পূৰ্বেকার প্রথা মতো হেঁট হইয়া নমস্কার করিল। রমণীবাবু