পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ed শেষের পরিচয় দেয়ালের কাছে দুখানি ছোট জল-চৌকি, একটির উপরে দুই একখানি পিতল-কঁাসার বাসন ও অন্যটির উপরে একটি টিনের তোরঙ্গ । অল্পমূল্যের একখানি তক্তপোষের উপরে জীৰ্ণ শয্যায় পড়িয়া বউট। তখনও জ্ঞান ছিল, পুরুষ দেখিয়া শিথিল হাতখানি মাথায় তুলিয়া আঁচলটুিকু টানিয়া দিবার চেষ্টা করিল। নতুন-মা বিছানার একধারে বসিয়া আৰ্দ্ধকণ্ঠে কহিলেন, কেন এ কাজ করতে গেলে মা, আমাকে সব কথা জানাওনি কেন ? হাত দিয়া তাহার চোখের জল মুছইয়া দিলেন, বলিলেন, সতি কোরে বলো ত মা, কতটুকু আফিং খেয়েচো ? কখন খেয়েচো ? এখন সাহস পাইয়া অনেকেই ভিতরে আসিতেছিল, পাশের ঘরের প্রৌঢ় স্ত্রীলোকটি বলিল, পয়সা তো বেশি ছিলনা মা, বোধহয় সামান্য একটুখানিই খেয়েচে,-আর, খেয়েচে বোধহয় বিকেল বেলায় । আমি যখন জানতে পারলুম। তখনও কথা কইছিল। রাখাল নাড়ি দেখিল, হাত দিয়া চোখের পাতা তুলিয়া পরীক্ষা করিল, বলিল, বোধহয় ভয় নেই নতুন-মা, আমি একখানা গাড়ী ডেকে আনি, হাসপাতালে নিয়ে যাই । ] DY uBK DDBD BDBDBBD BuDS রাখাল বলিল, এ ভাবে মরে লাভ কি বলুন তা ? আর, আত্মহত্যার মৃত পাপ নেই তা কি কখনো শোনেননি ? যে-স্ত্রীলোকটি বলিতেছিল। বাড়ীতে ডাক্তার আনিয়া চিকিৎসার চেষ্টা করা উচিত, য়াখাল তাঙ্কার জবাবে নতুন-মাকে দেখাইয়া কহিল, ইনি যখন এসেছেন তখন টাকার জন্তে ভাবনা নেই,-একজনের যায়গায় দশজন ডাক্তার এনে হাজির করে দিতে পারি, কিন্তু তাতে সুবিধে হবেনা। নতুন-মা। আর, ই।াসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্ৰাণটা যদি ওঁর বাচানো যায়, পুলিশের হাত থেকে দেহটাকেও বঁাচানো যাবে এ ভরসা আপনাদের আমি দিতে পাৰি ।