পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষের পরিচয় br e মেজকৰ্ত্তা। টাকা তুমিই দিয়েছিলে, তোমার কাজেই যদি যায় তো সাবে। কিন্তু আমারো ত আর কিছু নেই। শুনিয়া ব্ৰজবাবু যেন চমকাইয়া গেলেন। খানিক পরে ধীরে ধীরে বলিলেন, ঠিক কথা নতুন-বউ, এ দুঃসাহস করা আমার চলেন । তোমার টাকা আমি তোমাকেই ফিরিয়ে দেবো । কাল একবার আসবে ? যদি আসতে বলে আসবো । আর তোমার গয়নাগুলো ? তুমি কি রাগ করে বলচে মেজকৰ্ত্তা ? ব্ৰজবাবু সহসা উত্তর দিতে পারিলেননা। র্তাহার চোখের দৃষ্টি বেদনায় মলিন হইয়া উঠিল, তারপরে বলিলেন, নতুন-বেী, যার জিনিস তাকে ফিরিয়ে দিতে যাচ্চি আমি রাগ করে,-এমন কথা আজ তুমিও ভাবতে পারলে ? সবিতা নতমুখে নীরব হইয়া রহিলেন। ব্ৰজবাবু বলিলেন, আমি একটুও রাগ করিনি। নতুন-বেী, সরল মনেই ফিরিয়ে দিতে চাইচি । তোমার জিনিস তোমার কাছেই থাক, ও ভার বয়ে বেড়াবার আর আমার সামর্থ্য নেই । সবিতা এখনও তেমনি নির্বাক হইয়া রহিলেন,-কোন জবাবই দিতে পারিলেননা । সন্ধ্যা হয়, ব্ৰজবাবু উঠিয়া দাড়াইলেন, কহিলেন, আজ তা’হলে যাই । কাল এমনি সময়ে একবার এসো-আমার অনুরোধ উপেক্ষা কোরোনা নতুন-বেী । রাখাল তঁহাকে প্ৰণাম করিয়া বলিল, একটি বন্ধুর বিয়ে দিতে কাল রাতের গাড়ীতে আমি দিল্লী যাচ্চি কাকাবাবু, ফিরতে বোধ করি আট দশ দিন দেরি হবে ।