পাতা:শেষের পরিচয় - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SK বিবাহ দিয়া রাখাল দিন দশ-বারো পরে দিল্লী হইতে ফিরিয়া আসিল । বলা বাহুল্য, বর-কৰ্ত্তার কৰ্ত্তব্যে তাহার ক্ৰটী ঘটে নাই এবং কৰ্ত্তা-গিল্পী অর্থাৎ, মনিব ও মনিবগৃহিণী তাহার কাৰ্য্য-কুশলতায় ধৎপরোনাস্তি আনন্দ লাভ করিলেন । কিন্তু তাহার এই কয়টা দিনের দিল্লীপ্রবাস কেবল এইটুকুমাত্র ঘটনাই নয়, তথায় সে রীতিমত প্ৰভাব ও প্রতিপত্তি বিস্তার করিয়া আসিয়াছে। তাহার একটা ফল এই হইয়াছে যে বিবাহ-যোগ্য আকাজ্যিক্ষত পত্র হিসাবে তাহাকে কয়েকটি মেয়ে দেখানো হইয়াছে । সাদামাটা সাধারণ গৃহস্থ-ঘরের মেয়ে, পশ্চিমে থাকিয় তাহদের স্বাস্থ্য ও বয়স বাড়িয়াছে কিন্তু অভিভাবকগণের নানা অসুবিধায় এখনো পাত্ৰন্থ করা হয় নাই । পীড়া-পীড়ির উত্তরে রাখাল বলিয়া আসিয়াছে যে কলিকাতায় তাহার কাকাবাবু ও নতুন-মারি অভিমত জানিয়া পরে চিঠি লিখিবে। তাহার এ সৌভাগ্যের কারণ বন্ধু যোগেশ। সে বর-যাত্রী দলে ভিড়িয়া নিখরচায় দিল্লী, হস্তিনাপুর, কেল্লা, কুতুব-মিনার ইত্যাদি এ-যাবৎ লোকমুখে শুনা দ্রষ্টব্য বস্তুনিচয় দেখিতে পাইয়াছে, অতএব, বন্ধু-কৃত্য বাকি রাখে নাই, কৃতজ্ঞতার ঋণ ষোলআনায় পরিশোধ করিয়াছে। লোকে জিজ্ঞাসা করিয়াছে রাখালবাবু আজিও বিবাহ করেন নাই কেন ? যোগেশ জবাব দিয়াছে, ওঁর সখ । আমাদের মতো সাধারণ মানুষের সঙ্গে ওদের মিলবে এমন আশা করাই যে অন্যায়। কন্যাপক্ষীয় সসঙ্কোচে প্রশ্ন করিয়াছে উনি কলিকাতায়