শেষ প্রশ্ন S 8 o' কহিল, কথা যারই হোকৃ মুখুয্যে মশায়, মাষ্টারগিরি কাজে কড়া কথার ধমক্ দিয়ে ছাত্রের মুখ বন্ধ করা যায়, কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হয়না। প্রশ্নের জবাব না দিতে পারলে ত লজ্জা নেই, কিন্তু ভদ্রত লঙ্ঘন করার লজ্জা আছে। কিন্তু ঠাকুরপো, একটা গাড়ী ডাকৃতে পাঠাওনা ভাই। তোমাকে কিন্তু গিয়ে পৌছে দিতে হবে। তুমি ব্রহ্মচারী মাকুয, তোমাকে সঙ্গে দিতে তো আর ভয় নেই। এই বলিয়া সে কটাক্ষে অবিনাশের প্রতি চাহিয়া বলিল মুখুয্যে. মশায়ের মুখের চেহারা যে-রকম মিষ্টি হয়ে উঠচে, তাতে বিলম্ব করা আর সঙ্গত হবেনা। অবিনাশ গম্ভীর হইয়া কহিলেন, বেশ তো, তোমরা বসে গল্প করোনা, আমি গুতে চোল্লাম। বলিয়া উঠিয়া গেলেন । চাকর গাড়ী ডাকিতে গিয়াছিল, হরেন্দ্র কমলকে উদ্দেশ করিয়া বলিল, আমার আশ্রমে কিন্তু একদিন যেতে হবে । সেদিন আনিতে গেলে কিন্তু না বলতে পারবেননা । কমল সহাস্তে কহিল, ব্রহ্মচারীদের আশ্রমে আমাকে কেন হরেন বাবু ? না-ই বা গেলাম ? না, সে হবেনা। ব্রহ্মচারী বলে আমরা ভয়ানক কিছু নই। নিতান্তই শাদা-সিধে। গেরুয়াও পরিনে, জটা বন্ধলও ধারণ করিনে। সাধারণের মাঝখানে আমরা তাদের সঙ্গেই মিশে আছি । কিন্তু সেও তো ভাল নয় । অসাধারণ হয়েও সাধারণের মধ্যে আত্মগোপনের চেষ্টা আর একরকমের জোচ্চ রি। বোধ হয় অবিনাশবাৰু একেই বলছিলেন ভণ্ডামি , তার চেয়ে বরঞ্চ জটা-বহল গেরুয়া ঢের ভালো । তাতে মানুষকে চেনবার সুবিধে হয়, ঠকবার সস্তাবনা কম থাকে • { হরেন্দ্র কহিল, আপনার সঙ্গে তর্কে পারবার ষো নেই—হটুতেই
পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/১৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।