\g영 শেষ প্রশ্ন হরেনের চিঠি এবং ট্রেণের মাশুল পাইয়া তৎক্ষণাৎ চলিয়া আসিল । হরেন কহিল, দেখি যদি তোমার একটা চাকৃরি-বাকৃরি করে দিতে পারি। রাজেন বলিল, আচ্ছা । তাহার পরম বন্ধু ছিল সতীশ । সে কোনমতে অন্তরীণের দায় এড়াইয়া মেদিনীপুর জেলার কোন একটা গ্রাষুে বসিয়া ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রম খুলিবার চেষ্টায় ছিল ; রাজেনের পত্র পাওয়ার সপ্তাহকাল মধ্যেই তাহার সাধুসঙ্কল্প মুলতুবি রাখিয়া আগ্রায় আসিয়া উপস্থিত হইল। এবং, একাকী আসিলনা, অনুগ্রহ করিয়া গ্রাম হইতে একজন ভক্তকে সঙ্গে করিয়া আনিল । সতীশ এ কথা যুক্তি ও শাস্ত্র-বচনের জোরে নির্বিশেষে প্রতিপন্ন করিয়া দিল যে ভারতবর্ষই ধৰ্ম্ম ভূমি । মুনি-ঋষিরাই ইহার দেবতা। আমরা ব্রহ্মচারী হইতে ভুলিয়া গিয়াছি বলিয়াই আমাদের সব গিয়াছে। এ-দেশের সহিত জগতের কোন দেশের তুলনা হয়না, কারণ আমরাই ছিলাম একদিন জগতের শিক্ষক, .আমরাই ছিলাম মানুষের গুরু। সুতরাং, বর্তমানে ভারতবাসীর একমাত্র করণীয় গ্রামে-গ্রামে, নগরেনগরে অসংখ্য ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রম স্থাপন করা । দেশোদ্ধার যদি কখনো সম্ভব হয় তো এই পথেই হইবে। শুনিয়া হরেন্দ্র যুদ্ধ হইয়া গেল। সতীসের নাম সে শুনিয়াছিল, কিন্তু পরিচয় ছিলনা, সুতরাং এই সৌভাগ্যের জন্য সে মনে-মনে রাজেনকে ধন্যবাদ দিল। এবং ইতিপূৰ্ব্বে যে তাহার বিবাহ হইয়া যায় নাই, এজন্তু সে আপনাকে ভাগ্যবান জ্ঞান করিল। সতীশ সৰ্ব্ববাসিন্মত ভালো-ভালো কথা 'জাম্বিত ; কয়েকদিন ধীিয়া সেই আলোচনাই চলিতে লাগিল। এই পুণ্যভূমির মুনি-ঋষিদের আমরাই বংশধর, অামাদেরই• পূৰ্ব্ব-পিতামহগ৭ - একদিন জগতের গুরু .ছিলেন, অতএব আর একদিন গুরুগিরি করিবার আমরাই উত্তরাধিকারী।
পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/১৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।