শেষ প্রশ্ন నరిr পারিনি,—শুধু কোনমতে রাত্রির অন্ধকারে সেদিন নিঃশব্দে বেরিয়ে এলাম। পথের মধ্যে বার বার কোরে কেবল এই একটা কথাই মনে হতে লাগলো, এই অতি ক্ষুদ্র কাঙাল লোকটাকে রাগ কোরে শাস্তি দিতে যাওয়ায় না আছে ধৰ্ম্ম, না আছে সম্মান । আশুবাবু বিস্ময়াপন্ন হইয়া কহিলেন, বল কি কমল, শিবনাথের অসুখটা কি শুধু ছলনা ? সত্যি নয় ? কিন্তু জবাব দিবার পূর্বেই দ্বারের কাছে পদশব্দ শুনিয়া সবাই চাহিয়া দেখিল নীলিমা প্রবেশ করিয়াছে। তাহার হাতে দুধের বাটি। কমর্ল হাত তুলিয়া নমস্কার করিল। সে পাত্রটা শয্যার শিয়রে তেপায়ার উপরে রাখিয়া দিয়া প্রতি-নমস্কার করিল, এবং অপরের কথার মাঝখানে বাধা দিয়াছে মনে করিয়া নিজে কোন কথা না কহিয়া অদূরে নীরবে উপবেশন করিল। আশুবাবু বলিলেন, কিন্তু এ যে দুর্বলতা কমল ! এ জিনিস তো তোমার স্বভাবের সঙ্গে মেলেনা । আমি বরাবর ভাবতাম যা’ অন্যায়, যা মিথ্যাচার তাকে তুমি মাপ করোনা। হরেন্দ্ৰ কহিল, ওঁর স্বভাবের খবর জানিনে, কিন্তু মুচীদের পাড়ায় মরণ দেখে ওঁর ধারণা বদলেছে, এ সংবাদ ওঁর কাছেই পেলাম। আগে মনের মধ্যে যে ইচ্ছাই থাকৃ, এখন কারও বিরুদ্ধেই নালিশ করতে উনি নারাজ। s আগুবাবু বলিলেন, কিন্তু সে যে তোমার প্রতি এতখানি অত্যাচার করলে তাঁর কি ? . কমল মুখ তুলিতেই দেখিল নীলিমা একদৃষ্টে চাহিয়া আছে। জবাবটা শুনিবার জন্য সেই যেন সবচেয়ে উৎসুক। না হইলে হয়ত সে চুপ করিয়াই থাকিত, হরেন্দ্র যতটুকু বলিয়াছে তার বেশি একটা
পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/২৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।