শেষ প্রশ্ন । ૨૭૨ এ গৃহে অজিত একদিন বাড়ীর-ছেলের মতই ছিল, কিন্তু আগ্রায় থাকিয়াও আর সে আসেন । হয়ত, ইহাই স্বাভাবিক। তথাপি এই না আসার লজ্জা ও সঙ্কোচ উভয় পক্ষেই এমূনিই একটা ব্যবধান স্বষ্টি করিয়াছে যে তাহার এই অপ্রত্যাশিত আগমনে শুধু আশুবাবুই নয়, উপস্থিত সবলেই একটু চমকিত হইলেন। র্তাহার মুখের পরে ভারি একটা উদ্বেগের ছায়া পড়িল,—কহিলেন, তাকে এই ঘরেই নিয়ে আয় । ( খানিক পরে অজিত ঘরে ঢুকিল । পরিচিত ও অপরিচিত এতগুলি লোকের উপস্থিতির সস্তাবনা সে আশঙ্কা করে নাই । আশুবাবু কহিলেন, বোসে অজিত । ভালো আছো ? অজিত মাথা নাড়িয়া কহিল, আজ্ঞে, হা । আপনার শরীরটা এখন কেমন আঁছে ? ভালো মনে হচ্চে তো ? আশুবাবু বলিলেন, অসুখটা সেরেচে বলেই ভরসা পাচ্চি । পরস্পর কুশল প্রশ্নোত্তর এইখানে থামিল। কমল না থাকিলে হয়ত আরও দুই একটা কথা চলিতে পারিত, কিন্তু চোখো-চোখি হইবার ভয়ে অজিত সেদিকে মুখ তুলিতে সাহস করিলনা। মিনিট দুই তিন সকলেই চুপ করিয়া থাকার পরে হরেন্দ্র প্রথমে কথা কহিল। জিজ্ঞাসা করিল, আপনি কি সোজা বাসা থেকেই এখন আসচেন ? কিছু একটা বলিতে পাইয়া অজিত বাচিয়া গেল। কহিল, না, ঠিক সোজা আসতে পারিনি, আপনার সন্ধানে একটু ঘুৰ্ব-পথেই -আসতে হয়েছে। আমার সন্ধানে ? প্রয়োজন ? প্রয়োজন আমার নয়, আর একজনের । তিনি রাজেনের খোজে দুপুর থেকে বোধকরি বার চারেক উকি মেরে গেলেন। বসতে
পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/২৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।