২৭৯ • শেষ প্রশ্ন তার আনন্দ । দুঃসহ স্থায়িত্বের মোটা দড়ি গলায় বেঁধে সে আত্মহত্যা ক’রে মরে । অজিতের মনে পড়িল ঠিক এই কথাই সে ইহার কাছে পূৰ্ব্বে শুনিয়াছে। শুধু মুখের কথা নয়, ইহাই তাহার অন্তরের বিশ্বাস। শিবনাথ তাহাকে বিবাহ করে নাই, ফাকি দিয়াছে, কিন্তু এ লইয়া কমল একটা দিনের জন্যও অভিযোগ করে নাই। কেন করে নাই ? আজ এই প্রথম দিনের জন্য অজিত নিঃসংশয়ে বুঝিল, এই ফাকির মধ্যে তাহার নিজেরও সায় ছিল। পৃথিবী জুড়িয়া সমস্ত মানব জাতির এই প্রাচীন ও পবিত্র অনুষ্ঠানের প্রতি এত বড় অবজ্ঞায় জজিতের মন ধিক্কারে পূর্ণ হইয়া গেল । মুহূৰ্ত্তকাল মৌন থাকিয়া কহিল, তোমার কাছে গৰ্ব্ব করা আমার সাজেশা । কিন্তু তোমার কাছে আর আমি কিছুই গোপন কোরবন । এরা বলেন সংসারে কামিনী-কাঞ্চন ত্যাগ করাই পুরুষের সবচেয়ে বড় পুরুষার্থ। বুদ্ধির দিক দিয়ে এ আমি বিশ্বাস করি, এবং এ সাধনায় সিদ্ধিলাভের চেয়ে মহত্তর কিছু নেই এ বিষয়েও আমি ন্তিঃসংশয় । কাঞ্চন আমার যথেষ্ট আছে, তাতে লোত নেই, কিন্তু সমস্ত জীবনে ভালোবাসবার কেউ নেই, কেউ কখনো থাকৃবেনা, মনে হলে বুক যেন শুকিয়ে ওঠে । ভয় হয়, অন্তরের এ দুর্বলতা হয়ত আমি মরণকাল পর্যন্ত জয় করতে পারবোনা। অদৃষ্টে তাই যদি কখনো ঘটে, আশ্রম ত্যাগ করে আমি চলে যাবো। কিন্তু, তোমার আহবান তার চেয়েও মিথ্যে । ও ডাকে সাড়া দিতে আমি পারবনা। এর্কে মিথ্যে বলচেন কেন ? মিথ্যেই ত। মনোরম সত্যই কখনো আমাকে “ভালোবাসেনি, তার আচরণ বোঝা যায়, কিন্তু শিবনাথের প্রতি শিবানীর ভালোবাসা
পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/২৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।