শেষ প্রশ্ন । २५० ত অামি নিজের চোখেই দেখেচি। সেদিন তার যেন আর সীমা ছিলনা, কিন্তু আজ তার চিহ্ন পৰ্য্যন্ত বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কমল কহিল, আজ যদি তা গিয়েই থাকে, সেদিন কি শুধু আমার ছলনাই আপনার চোখে পড়েছিল ? [. অজিত বলি, সে তুমিই জানো, কিন্তু আজ মনে হয় নারী-জীবনে এর চেয়ে মিথ্যে বুঝি আর নেই। কমলের চোখের দৃষ্টি প্রখর হইয়া উঠিল, কহিল, নারীজীবনের সত্যাসত্য নির্দেশের ভার নারীর পরেই থাক। সে বিচারের দায়িত্ব পুরুষের নিয়ে কাজ নেই,—মনোরমারও না, কমলেরও না। এমূনি করেই সংসারে চিরদিন ন্যায় বিড়ম্বিত, নারী অসম্মানিত এবং পুরুষের চিত্ত সঙ্কীর্ণ, কলুষিত হয়ে গেছে। তাই এই মিথে মামলার আর নিম্পত্তি হতে পেলেন । অবিচারে কবল একপক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়না অজিতবাবু, দুপক্ষেরই সৰ্ব্বনাশ করে, সেদিন শিবনাথ যা পেয়েছিলেন দুনিয়ায় কম পুরুষের ভাগ্যেই তা’ জোটে, কিন্তু তৃণজ তা’ নেই। কেন নেই এই তর্ক তুলে পুরুষের মোটা হাতে, মোটা দণ্ড ঘুরিয়ে শাসন করা চলে কিন্তু ফিরে পাওয়া যায়না । সেদিনের থাকাটা যেমন সত্যি, অাজকের না-থাকাটাও ঠিক ততবড়ই সত্যি। শঠতার ছেড়া-কাথা মুড়ে একে ঢাকা দিতে লজ্জাবোধ করেছি বলে পুরুষের বিচারে এই হ’ল নারী-জীবনের সবচেয়ে বড় মিথ্যে ? এই সুবিচারের আশাতেই আমরা আপমাদের মুখ চেয়ে থাকি ? অজিত উত্তর দিল, কিন্তু উপায়,কি ? যা এমন ক্ষণস্থায়ী এমন ভঙ্গুর, তাকে এর বেশি সম্মান মানুষে দেবে কেন ? কমল বলিষ্ঠ, দেবেন জানি। আমার উঠোনের ধারে যে ফুল ফোটে তার জীবন একবেলার বেশি নয়। তার চেয়ে ওই মশলা-পেশা
পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/২৮৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।