শেষ প্রশ্ন والحجاج বলিতে থাকিত যে এমনিই হয় । এমনি দুঃখ বহু মানবের ভাগ্যে বহুবার ঘটিয়াছে, এবং এম্নি করিয়াই সংসার চলে। ইহার কোথাও নূতনত্ব নাই,—ইহা স্বষ্টির মতই সুপ্রাচীন। উচ্ছসিত শোকের তরঙ্গ তুলিয়া ইহাকেই নবীন করিয়৷ সংসারে পরিব্যাপ্ত করায় না আছে পৌরুস না অাছে প্রয়োজন। তাই সৰ্ব্ববিধ তুঃখই তাহাতে আপনিই শান্ত হইয়া চারিদিকে এমন একটি স্নিগ্ধ-প্রসন্নতার বেষ্টনী স্বজন করিত যে, ভিতরে আসিলে সকলের সকল বোঝাই যেন আপনা হইতে লঘু ও অকিঞ্চিৎকর হইয়া যাইত । এইভাবে আশুবাবুর চিরদিন কাটিয়াছে। "আগ্রায় আসিয়াও নানা বিপৰ্য্যয়ের মধ্যে ইহার ব্যত্যয় ঘটে নাই, অথচ, এই ব্যতিক্রমটুকুই চোখে পড়িতে লাগিল আজকাল অনেকেরই। হঠাৎ দেখা যায় তাহার আচরণে ধৈৰ্য্যের অভাব বহু স্থলেই যেন চাপা পড়িতে চাহেনা, মনে হয় আলাপ-আলোচনা অকারণে রূঢ়তার ধার ঘেঁসিয়া আসে, মন্তব্য প্রকাশের অহেতুক তীক্ষত চাকর-বকিরদের কানে অদ্ভুত শুনায়,–কিন্তু কেন যে এমন ঘটিতেছে তাহাওঁ ভাবিয়া পাওয়া দুষ্কর। রোগের বাড়ী-বাড়ির মধ্যেও এ বিকৃতি র্তাহাতে অবিশ্বাস্ত মনে হইত, এখন তো সারিয়া আসিতেছে। কিন্তু হেতু যাই হৌক, একটু লক্ষ্য করিলেই বুঝা যায় তাহার নিভূত-চিত্ত-তলে যেন একটা দাহ চলিতেছে ; তাহারই অগ্নিস্ফুলিঙ্গ মাঝে মাঝে বাহিরে ফাটিয়া পড়ে। প্রকাশ করিয়া আজও বলেন নাই বটে, কিন্তু আভাস পাওয়া যায় যে আগ্রাধাসের দিন তাহার ফুরাইয়া আসিল । হয়ত, আর একটুখানি সুস্থ হওয়ার বিলম্ব। তারপরে, হঠাৎ যেমন একদিন আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিলেন, তেমনি হঠাৎ আর একদিন নিঃশব্দে অন্তৰ্হিত হইয়া যাইবেন । *
পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/২৯১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।