শেষ প্রশ্ন وين مع نيا অজিত কহিল, হরেন্দ্রবাবুর মতো আমার ভাষার জ্ঞান নেই ; বলার . দোযে যদি সমস্ত কটু হয়ে ওঠে সে আমারই অক্ষমতা। এই বলিয়া সে কখনো বা বইয়ের প্রতি চাহিয়া, কখনো বা না চাহিয়া বলিতে লাগিল— “মেয়েটি বাড়ী ফিরে এলো। ঐ লোকটিকে যে সে কখনো ভালবেসেছিল বা কোনদিন •চেয়েছিল তা’ নয়, বরঞ্চ একান্ত মনে চিরদিন এই প্রার্থনাই করে এসেছে, ঈশ্বর যেন ঐ মানুষটিকে একদিন মোহমুক্ত করেন,—এই নিষ্ফল প্রণয়ের দাহ থেকে অব্যাহতি দান করেন । অসম্ভব বস্তুর লুব্ধ-আশ্বাসে আর যেন না সে যন্ত্রণা পায়। দেখা গেলো, এতদিনে ভগবান সেই প্রার্থনাই মঞ্জুর করেছেন। কোন কথাই হোলোনা, তবু নিঃসন্দেহে বুঝা গেলো সে ক্যানাডায় ফিরে যাকৃ, বা না যাকৃ, সকাতরে প্রণয়-ভিক্ষা চেয়ে আর সে নিরন্তর নিজেও দুঃখ পাবেনা, তাকেও দুঃখ দেবেন। দুঃসূৰ্য সমস্তার আজ শেষ মীমাংসা হয়ে গেছে। চিরদিন না’ বলে মেয়েটি অস্বীকার করেই এসেছে, আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি, কিন্তু সেই শেষ ‘না’ এলো আজ একেবারে উন্টে দিক থেকে । দু'য়ের মধ্যে যে এতবড় বিভেদ ছিল, মেয়েটি স্বপ্নেও ভাবেনি। মানবের লোলুপ-দৃষ্টি চিরদিন তাকে বিব্রত করেছে, লজ্জায় পীড়িত করেছে ; আজ ঠিক সেই দিক থেকেই যদি তার মুক্তি ঘটে থাকে, শারীর-ধৰ্ম্ম বশে অবসিত প্রায় যৌবন যদি তার পুরুষের উদ্দীপ্ত কামনা, উন্মাদ আসক্তির আজ গতিরোধ কোরে থাকে অভিযোগের কি আছে ? অথচ, বাড়ী ফেরার পথে সমস্ত বিশ্ব-সংসার আজ যেন চোখে তার সম্পূর্ণ অপরিচিত মূৰ্ত্তি নিয়ে দেখা দিলে। ভালোবাসা নয়, আত্মার একান্ত মিলনের ব্যাকুলতা নয়,—এ সব অন্য কথা। বড় কথা । কিন্তু যা’ বড় নয়,—যা” রূপজ, যা’ অশুভ, অম্বন্দর, যা অত্যন্ত
পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/৩১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।