○> ○ • শেষ প্রশ্ন দিন। আপনি অনেক দেখেছেন, অনেক পড়েছেন,—প্রকাও পণ্ডিত মানুষ,—আপনার এই অনির্দিষ্ট ঢিলে-ঢালা কথার ফাক দিয়ে যে বৌদি জিতে যাবেম, সে আমার সইবেন । বলুন। আশুবাবু হাসিমুখে কহিলেন, তুষি ব্রহ্মচারী মানুষ,—রুপের বিচারে হারলে তো তোমার লঞ্জা নেই হরেন। না, সে অামি শুনবন। আগুবাবু ক্ষণকাল মৌন থাকিয়া ধীরে ধীরে বলিলেন, তোমার কথা অপ্রমাণ করার জন্যে কোমর বেঁধে তর্ক করতে আমার লজ্জা করে। ঝঙ্কৃত:, নারীরূপের নিগূঢ় অর্থ অপরিস্ফুট থাকে সেই ভালো, হরেন। পুনরায় একটুখানি চুপ করিয়া থাকিয়া বলিতে লাগিলেন, অজিতের গল্প শুনতে শুনতে আমার বহুকাল 'পূৰ্ব্বের একটা দুঃখের কাহিনী মনে পড়ছিল। ছেলেবেলায় আমার এক ইংরেজ বন্ধু ছিলেন ; তিনি একটি পোলিশ রমণীকে ভালোবেসেছিলেন । মেয়েটি ছিল, অপরূপ সুন্দরী ও ছাত্রীদের পিয়ানো বাজনা শিখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। শুধু রূপে নয়, মানা গুণে গুণবতী,— আমরা সবাই তাদের শুভকামনা কোরতাম। নিশ্চিত জানতাম, এঁদের বিবাহে কোথাও কোন বিঘ্ন ঘটুবেনা। অজিত প্রশ্ন করিল, বিঘ্ন ঘটলো কিসে ? * আগুবাবু বলিলেন, শুধু বয়সের দিক দিয়ে। দেশ থেকে একদিন মেয়েটির মা এসে উপস্থিত হলেন, তারই মুখে কথায় কথায় হঠাৎ খবর পাওয়া গেল কনের বয়েস তখন পয়তাল্লিশ পার হয়েগেছে। শুনিয়া সকলেই চমকিয়া উঠিল । অজিত জিজ্ঞাসা করিল, মহিলাটি কি আপনাদের কাছে বয়েস লুকিয়েছিলেন ? আশুকুৰু বলিলেন, না। আমার বিশ্বাস জিজ্ঞাসা কুরলে তিনি
পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/৩১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।