শেষ প্রশ্ন . ’ ඊSVෂ নিজের সম্বন্ধেও কি তাই ষোলো আনায় থাটেন ? সার্থকতার যে আইডিয়া শিশুকাল থেকে মেয়েদের মাথায় ঢুকিয়ে এসেছেন, সেই ৷ মুখস্ত-বুলিই তো তারা সদৰ্পে আবৃত্তি কোরে ভাবে এই বুঝি সত্যি ! আপনারাও ঠকেন, আত্ম-প্রসাদের ব্যর্থ অভিমানে তারা নিজেরাও মরে । বলেই বললে, সহমবণের কথা তো আপনার মনে পড়া উচিত। যারা পুড়ে মরতো, এবং তাদের যারা প্রবৃত্তি দিতো, দু'পক্ষের দস্তই তো সেদিন এই ভেবে আকাশে গিয়ে ঠেকৃতে যে, বৈধব্য-জীবনের এত বড় আদর্শের দৃষ্টান্ত জগতে আর আছে কোথায় ? এর উত্তর যে কি আছে খুজে পেলামনা । কিন্তু, সে অপেক্ষাও করলেন, নিজেই বললে, উত্তর তো নেই, দেবেন কি ? একটু থেমে আমার মুখের পানে চেয়ে বললে, প্রায় সকল দেশেই এই আত্মোৎসর্গ কথাটায় একটা বহুব্যাপ্ত ও বহুপ্রাচীন পারমার্থিক মোহ আছে, তাতে নেশা লাগে, পরলোকের অসামান্ত-অবস্তু ইহলোকের সঙ্কীর্ণ সামান্য বস্তুকে সমাচ্ছন্ন করে দেয়, ভাবতেই দেয়না ওর মাঝে নূর নারী কারও জীবনেরই শ্রেয়ঃ আছে কি না । সংস্কার-বুদ্ধি যেন স্বতঃসিদ্ধ সত্যের মত কানে ধরে স্বীকার করিয়ে নেয়,—অনেকটা ঐ সহমরণের মতই,— কিন্তু আর না আমি উঠি । ' সে সত্যিই চলে যায় দেখে ব্যস্ত হয়ে বললাম, কমল, প্রচলিত নীতি এবং প্রতিষ্ঠিত সমস্ত সত্যকে অবজ্ঞায় চুর্ণ করে দেওয়াই দুঘন তোমার ব্রত । এ শিক্ষা তোমাকে যে দিয়েছে জগতের সে কল্যাণ করেনি। " কমল বললে, আমার বাবা দিয়েছেন । বোল্লাম, তোমার মুখেই শুনেচি তিনি জ্ঞানী ও পণ্ডিত লোক ছিলেন। একথা কি তিনি কখনো শেখাননি যে নুিঃশেষে দান করেই
পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/৩২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।