পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/৩৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭8? • শেষ প্রশ্ন আস্তে আস্তে বলিল, মেয়ের বদলে আমার ওপর কিন্তু রাগ করতে * পারবেননা তা’ বলে দিচ্চি । আগুবাবু কিছুই বলিলেননা, শুধু স্তব্ধ হইয়া বসিয়া রছিলেন। কমল কহিল, ইংরেজিতে Emåncipation TCPI একটা কথা আছে ; আপনি তো জানেন, পুরাকালে পিতার কঠোর মধীনতা থেকে সন্তানকে মুক্তি দেওয়াও তার একটা বড় অর্থ ছিল। সেদিনের ছেলেমেয়েরা মিলে কিন্তু এই শব্দটা তৈরি করেনি, করেছিল আপনাদের মতো যারা মস্ত বড় পিতা,—নিজেদের বঁাধন-দড়ি আল্গা কোরে যারা সন্তানকে মুক্তি দিয়েছিলেন,—র্তারাই। আজকের দিনেও ইম্যানসিপেশনের জন্যে যত কোদলই মেয়েরা করিনে কেন, দেবার আসল মালিক যে আপনারা,—আমরা নই, জগৎ-ব্যবস্থায় এ সত্যটা আমি একটি দিনও ভুলিনে আগুবাবু। আমার নিজের বাবা প্রায়ই বলতেন, পৃথিবীর ক্রীত-দাসদের স্বাধীনতা দিয়েছিল একদিন তাদের মনিবেরাই, তাদের হয়ে লুড়াই করেছিল সেদিন নিবের জাতেরাই—নইলে দাসের দল কোদল কোরে, যুক্তির জোরে নিজেদের মুক্তি অর্জন করেনি। এমুনিই হয়। বিশ্বের এমনিই নিয়ম ; শক্তির বন্ধন থেকে শক্তিমানেরাই দুৰ্ব্বলকে ত্রাণ করে । তেম্নি, নারীর মুক্তি আজও শুধু পুরুষেরাই দিতে পারে। দায়িত্ব তো তাদেরই। মনোরমাকে মুক্তি দেবার ভার আপনার ত। মণি বিদ্রোহ করতে পারে, কিন্তু পিতার অভিশাপের মধ্যে তো সন্তানের মুক্তি থাকেন, থাকে তার অকুণ্ঠ আশীৰ্ব্বাদের মুখ্য। আশুবাবু এখনও কথা কহিতে পারিলেননা। এই উচ্ছৃঙ্খলপ্রকৃতির মেয়েটি সংসারে অসম্মান, অমৰ্য্যাদার মধ্যেই জন্মলাভ করিয়াছে, কিন্তু জন্মের সেই লজ্জাকর দুৰ্গতিকে অন্তরে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করিয়া লোকান্তরিত পিতার প্রতি তাহার ভক্তি ও স্নেহের সীমা নাই।