পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/৩৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ළුද්ද শেষ প্রেশ্ন সতীশ অধিকতর উত্তেজিত হইয়া কহিল, আপনাকেও যে একদিন নাস্তিকতার ফঁাদে পড়তে হবে এ আমরা ভাবিনি হরেনদা । হরেন্দ্ৰ কহিল, তুমি জানো আমি নাস্তিক নই। কিন্তু গাল দিয়ে শুধু অপমান করাই যায় সতীশ, মতের প্রতিষ্ঠা করা যায়না । শক্ত কথাই সংসারে সবচেয়ে দুর্বল । সতীশ লজ্জা পাইল । হেঁট হইয়া হাত দিয়া তাহার পা ছুইয়। মাথায় ঠেকাইয়া কহিল, অপমান করিনি হরেনদা । আপনি তে! জানেন, আপনাকে কত ভক্তি করি আমরা ; কিন্তু কষ্ট পাই যখন শুনি ভারতের শাশ্বত তপস্তাকেও আপনি অবিশ্বাস করেন। একদিন যে-উপাদান যে-সাধনা দিয়ে তারা এই ভারতের বিরাট অ্যাতি, বিরাট সভ্যতা গড়ে তুলেছিলেন, সে-সত্য কখনো বিলুপ্ত হয়নি। আমি সোনার অক্ষরে স্পষ্ট দেখতে পাই, সেই ভারতের মজ্জাগত ধৰ্ম্ম,—সেই আমাদের আপন জিনিস। এই ধ্বংসেন্মুখ বিরাটু জাতটাকে আবার সেই উপাদান দিয়েই বাচিয়ে তোলা যায় হরেনদা, আর কোন পথ নেই। হুরেন্দ্র কহিল, নাও যেতে পারে সতীশ । ও তোমার বিশ্বাস,— এবং তার দাম শুধু তোমার নিজের কাছে। একদিন ঠিক এই রকম কথার উত্তরেই কমল বলেছিলেন, জগতের আদিম যুগে একদিন বিরাট অস্থি, বিরাট দেহ, বিরাট ক্ষুধা দিয়ে বিরাট জীব স্বষ্টি হয়েছিল ; তাই দিয়ে সে পৃথিবী জয় করে বেড়িয়েছিল,—সেদিন সেই ছিল তার সূত্য উপাদান। কিন্তু আর একদিন সেই দেই, সেই ক্ষুধাই এনে দিলে তাকে স্বত্যু। একদিনের সত্য উপাদান আর একদিনের মিথ্যে উপাদান হয়ে তারে নিশ্চিহ্ন কোরে সংসারে মুছে দিলে। এতটুকু বিধা, করলেন। সে অস্থি আজ,পাথরে রূপান্তরিত, প্রত্নতাত্ত্বিকের গবেষণার বন্ধ ।