শেষ প্রশ্ন । S9\واe কমল ঘাড় নাড়িয়া বলিল, না । তাহলে সেইটে আগে জেনে নিন। কমল হাসিয়া কহিল, আচ্ছা । কিন্তু নামের মোহ আমার নেই। নাম জানাটাকেই জানার শেষ বলে আমি ভাবতে পারিনে । প্রত্যুত্তরে সতীশ দুই চক্ষে শুধু অবজ্ঞা ও ঘৃণা বর্ষণ করিয়া ত্বরিতপদে ঘর হইতে বাহির হইয়া গেল । সে যে রাগ করিয়া গেছে তাহ নিঃসন্দেহ । এই অপ্রীতিকর ব্যাপারটাকে কথঞ্চিৎ লঘু করিবার মানসে হরেন্দ্র হাসির ভান করিয়া থান্নিক, পরে বলিল, কমলের আকৃতিটা প্রাচ্যের , কিন্তু প্রকৃতিটা প্রতীচ্যেব। একটা পড়ে চোখে, কিন্তু অপরটা থাকে সম্পূর্ণ আড়ালে । এইখানে হয় মানুষের ভুল। ওর পরিবেশন করা খাবার গেলা যায়, কিন্তু হজম করতে গোল বাধে । পেটের বরিশ নাড়িতে যেন মোচড় ধরে। আমাদের প্রাচীন কোন-কিছুর প্রতি ওর না আছে বিশ্বাস, না আছে দরদ' অকেজো বলে বাতিল করে দিতে ওর ব্যথা নেই। কিন্তু স্বক্ষ নিক্তি হাতে পেলেই যে স্বক্ষ ওজন করা যায় না—এ কথাটা ও বুঝতেই পারেন। কমল কহিল, পারি, শুধু দাম নেবার বেলাতেই একটার বদলে অন্যটা নিতে পারিনে। আমার আপত্তি ঐখানে । হুরেন্দ্র বলিল, আশ্রমটা তুলে দেবো আমি স্থির করেচি। ও-শিক্ষায় মানুষ হয়ে ছেলেরা দেশের যুক্তি-পরম-কল্যাণকে ফিরিয়ে আনতে পারবে, আমার সন্দেহ জন্মেছে ৫ কিন্তু, দীন-হীন ঘরের যে-সব ছেলেকে সতীশ ঘর-ছাড়া কোরে এনেছে তাদের নিয়ে যে কি কোরব আমি তাই ভেবে পাইনে। সতীশের হাতে তুলে দিতেও তো তাদের পারবোন ।
পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/৩৬৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।