শেষ প্রশ্ন |రి అని চাপড়ে কাদা ভিন্ন আমি আর এ কথার জবাব খুজে, পেলামনা। মনে মনে ভাব লাম, ভবিষ্যতে এরাই আনবে দেশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে । হরেন্দ্ৰ কহিল, ছেলেদের কথা যাকৃ, কিন্তু রাজেন, সতীশ এরা তো যুবক ? এরাও তো সৰ্ব্বত্যাগী ? কমল বলিল, রাজেনকে আপনারা চেনেননা, সুতরাং, সেও যাক্ । কিন্তু বৈরাগ্য ীেবনকেই তো বেশি পেয়ে বসে। ও যেখানে শক্তি, সেখানে বিরুদ্ধ শক্তি ছাড়া তাকে বশ করবে কে ? হরেন্দ্র বলিল, রাগ কোরোনা কমল, কিন্তু তোমার রক্তে তো বৈরাগ্য নেই। তোমার বাবা ইয়োরোপিয়ান, তার হাতেই তোমার শিশু-জীবন গড়ে উঠেচে। মা এ দেশের, কিন্তু তার কথা না তোলাই ভালো । দেহের রূপ ছাড়া বোধহয় সেদিক থেকে কিছুই পাওনি। তাই, পশ্চিমের শিক্ষায় ভোগটাকেই জীবনের সবচেয়ে বড় ব’লে জেনেচে । কমল কহিল, রাগ করিনি হরেনবাবু। কিন্তু এমন কথা আপনি বেননা । কেবলমাত্র ভোগটাকেই জীবনের বড় কোরে নিয়ে কোন জাত কখনো বড় হয়ে উঠতে পারেনা। মুসলমানেরা যখন এই ভুল করলে তখন তাদের ত্যাগও গেলো, ভোগও ছুটলো। এই ভুল করলে ওরাও মরবে। পশ্চিম তো আর জগৎ ছাড়া নয়, সে বিধান উপেক্ষ কোরে কারও বাচবার জো নেই। এই বলিয়া সে একমুহূৰ্ত্ত মেীণ থাকিয়া কহিল, তখন কিন্তু মুচকে হেলে আপনারাও বলুবার দিন পাবেন,—কেমন ! বলেছিলাম ত! দিনকয়েকের নাচন-ক্টোদন ওদের যে কুরুবে সে আমরা জানতাম। কিন্তু, চেয়ে দেখো, আমরা আগাগোড়া টিকে আছি। বলিতে বলিতে সুবিমল হাস্তে তাহার সমস্ত মুখ বিকশিত হইয়া উঠিল।
পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/৩৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।