আশুবাবু কহিলেন, শিবনাথ বলেন মেয়েটি তাঁর স্ত্রী, মেয়েটি পরিচয় দিলেন তাঁকে স্বামী বলে।
অবিনাশ কহিলেন, দিন পরিচয়। কিন্তু এ সত্য নয়। এর মধ্যে যে গভীর রহস্য আছে অক্ষয়বাবু সন্ধান নিয়ে একদিন তা উদ্ঘাটিত করবেনই করবেন।
আশুবাবু বলিলেন, তাতে আমারও সন্দেহ নেই, কারণ অক্ষয়বাবু শক্তিমান পুরুষ। কিন্তু এঁদের পস্পরের স্বীকারোক্তির মধ্যে সত্য নেই, সত্য আছে যে রহস্য গোপনে আছে তাকেই বিশ্বের সুমুখ অনাবৃত করায়? অবিনাশ বাবু আপনি ত অক্ষয় নন, এ তো আপনার কাছে আমি প্রত্যাশা করিনে।
অবিনাশ বাবু লজ্জা পাইয়াও কহিলেন, কিন্তু সমাজ ত আছে! তাঁর কল্যাণের জন্য ত-
কিন্তু বক্তব্য তাঁহার শেষ হইতে পাইলনা, পার্শ্বের দরজা ঠেলিয়া মনোরমা প্রবেশ করিল। অবিনাশকে নমস্কার করিয়া কহিল, বাবা, আমি বেড়াতে যাচ্ছি, তুমি বোধ হয় বার হতে পারবেনা?
না, মা, তুমি যাও।
অবিনাশ উঠিয়া দাঁড়াইলেন, কহিলেন, আমারও কাজ আছে। বাজারের কাছে একবার নামিয়ে দিতে পারবেনা মনোরমা?
নিশ্চয় পারবো,-চলুন।
যাইবার সময় অবিনাশ বলিয়া গেলেন যে, অত্যন্ত বিশেষ প্রয়োজনে তাঁহাকে কালই দিল্লী যাইতে হইবে, এবং বোধ হয় একসপ্তাহের পূর্ব্বে আর ফিরিতে পারিবেন না।