শেষ প্রশ্ন *У о উল্লেখ করিয়াছেন ; কিন্তু তবু আর পুরাতন হয় না যখনই মনে পড়ে তখনই নূতন হইয়া দেখা দেয় । , ঝি আসিয়া দ্বারের কাছে দাড়াইল । মনোরমা উঠিয়া পড়িয়া কহিল, বাবা, তুমি একটু বোসো, আমি রান্নার জোগাড়টা করে দিয়ে আসি। এই বলিয়া সে তাড়াতাড়ি চলিয়া গেল। আলোচনাটা যে আর বেশি দুর গড়াইবার সময় পাইল না, ইহাতে সে স্বস্তি বোধ করিল। দিনের মধ্যে আশুবাবু কয়েকবার অজিতের খোজ করিয়া একবার জানিলেন সে বটু পড়িতেছে, একবার খবর পাইলেন সে নিজের ঘরে বসিয়া চিঠি-পত্র লিখিতেছে। মধ্যাহ্ল-ভোজনের সময়ে সে প্রায় কথাই কহিলনা, এবং খাওয়া শেষ হইতেই উঠিয়া চলিয়া গেল। অন্যান্য দিনের তুলনায় তাহা যেমন রূঢ়, তেমনি বিস্ময়কর। আশুরাবুর ক্ষোভের পরিসীমা নাই, কহিলেন, ব্যাপার কি মণি ? মনোরম আজ বরাবরই পিতার দৃষ্টি এড়াইয়া চলিতেছিল, এখনও বিশেষ কোনদিকে না চাহিয়াই কহিল, জানিনে তো বাবা । তিনি ক্ষণকাল নিজের মনে চিন্তা করিয়া যেন নিজেকেই বলিতে লাগিলেন, তার ফিরে আসা পর্য্যন্ত আমি তো জেগেই ছিলাম। খেতেও বোল্লাম, কিন্তু অনেক রাত্রি হয়েছে বলে সে নিজেই খেলেন । তোমার শুয়ে পড়াটা হয়ত ঠিক হয়নি, কিন্তু এতে এমন কি অন্যায় হয়েছে আমি তো ভেবে পাইনে । এই তুচ্ছ কারণটাকে সে এত কোরে মনে নেবে এর চেয়ে আশ্চৰ্য্য আর কি আছে ? . মনোরম চুপ করিয়া রহিল। আঁশুবাবু নিজেও কিছুক্ষণু মোন থাকিয়া ভিতরের লজ্জাঁটা দমন করিয়া বললেন, কথাটা তাকে তুমি জিজ্ঞাসা করলে না কেন ? ( )
পাতা:শেষ প্রশ্ন.djvu/৯৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।