পাতা:শৈশব সঙ্গীত-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> \b* শৈশব সঙ্গীত । আলু থালু কেশ পাশ, বধিতে নাহিক আশ, উড়িয়া পড়িছে থাকি থাকি । কি করুণ মুখ খানি—একটি নাইক বাণী কেঁদে কেঁদে শ্রান্ত দুটা আখি । যে দিকে চরণ ধায়, সে দিকে চলেছে হায়, কিছুতে ক্ৰক্ষেপ নাই মনে, গাছের র্কাটার ধার, ছিড়িছে অাচল তার লতা-পাশ বাধিছে চরণে । একাকী আপন মনে, ভ্ৰমিতে ভ্ৰমিতে বনে যাইত সে তটিনীর তীরে, লতায় পাতায় গাছে—অর্ণধার করিয়৷ আছে, সেই খানে শুইত স্বধীরে । জল কলরব রাশি, প্রাণের ভিতরে আসি ঢালিত কি বিষাদের ধারা । ফাটিয়া যাইত বুক, বাহুতে ঢাকিয়া মুখ • কাদিয়া কাদিয়া হ’ত সারা । কানন-শৈলের পায়ে, মধ্যান্ত্রে গাছের ছায়ে মলিন অঞ্চলে রাখি মাথ, কত কি ভাবিত হায়—উচ্ছ সি উঠিত বায় ঝরিয়া পড়িত শুষ্ক পাতা ।