এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ফুলবালা।
২৯
নয়ন হইতে শিশিরের মত
সলিল পড়িছে ঝরি!
ঘুমায়ে ঘুমায়ে অশোকের যেন
অধর উঠিল কাঁপি!
"মালতী” “মালতী” বলিয়া বালার
হাত-টি ধরিল চাপি!
হরষে ভাসিয়া কহিল মালতী
হেঁট করি আহা মাথা—
"অশোক—অশোক—মালতী তোমার
এই যে রয়েছে হেথা!"
ঘুমের ঘোরেতে পশিল শ্রবণে
"এইযে রয়েছে হেথা!"
নয়নের জলে ভিজায়ে পলক
অশোক তুলিল মাথা!
একিরে স্বপন? এখনো একিরে
স্বপন দেখিছে নাকি?
আবার চাহিল অশোক বালক,
আবার মাজিল আঁখি!
অবাক্ হইয়া রহিল বসিয়া
বচন নাহিক সরে—