পাতা:শৈশব সঙ্গীত-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অতীত ও ভবিষ্যত।

কেমন গো আমাদের ছোট সে কুটীর খানি—
সমুখে নদীটি যায় চলি,
মাথার উপরে তার বট অশথের ছায়া,
সামনে বকুল গাছ গুলি।
সারাদিন হু হু করি বহিছে নদীর বায়ু,
ঝর ঝর দুলে গাছ পালা,
ভাঙ্গাচোরা বেড়াগুলি, উঠেছে লতিকা তায়
ফুল ফুটে করিয়াছে আলা।
ওদিকে পড়িয়া মাঠ; দূরে দু-চারিটি গাভী
চিবায় নবীন তৃণদল,
কেহবা গাছের ছায়ে, কেহবা খালের ধারে
পান করে সুশীতল জল।
জানত কল্পনা বালা, কত সুখে ছেলে বেলা
সেইখানে করেছি যাপন,
সেদিন পড়িলে মনে প্রাণ যেন কেঁদে ওঠে,
হুহু ক’রে ওঠে যেন মন।
নিশীথে নদীর পরে ঘুমিয়েছে ছায়া চাঁদ,
সাড়াশব্দ নাই চারি পাশে,