ভৃত্যের প্রবেশ
ভৃত্য। সাহেববাড়ি থেকে এই কাপড় এসেছে।
মন্মথ। নিয়ে যা, কাপড় নিয়ে যা, এখনি নিয়ে যা।
শশধর। আহা, আহা, ক’রচো কি মন্মথ। কাপড় ফিরিয়ে দিয়ে আমাকেই—
মন্মথ। ঐ কাপড়গুলোতেই আছে চাবিচুবিব ব্যাকটীরিয়া—টাকা চুরির বীজ—এই আমি তোমাকে বলে’ গেলুম। (প্রস্থান। বিধুমুখীর মেজের উপর উপুড় হইয়া পড়িয়া কান্না)
শশধর। বউ, ছি, ছি, এমন করে’ কাঁদতে নেই। ওঠো ওঠো।
বিধু। রায় মশায়, আমার বেঁচে সুখ নেই।
শশধর। কিছুই বুঝতে পারচি নে। মন্মথ কাকে সন্দেহ ক’রচে। সতীশকে না কি?
বিধু। নিজের ছেলেকে যদি সন্দেহ না ক’রবে, তবে বাপ কিসের? যদি মা হতো, ছেলেকে গর্ভে ধাবণ ক’রতো, তা’ হ’লে বুঝ্তো ছেলে ব’লতে কী বুঝায়। গেছে তো গেছে না হয় সোনার গুড়গুড়িটাই গেছে, আমার সতীশ কি ওঁর সোনার গুড়গুড়ির চেয়ে কম দামের?
শশধর। সোনার গুড় গুড়ির কথা কি ব’লচো? সিন্দুক থেকে কী গেছে, দেখেচো না কি?
বিধু। হাঁ, তা—না দেখিনি। আমি বলচি ওঁব সিন্দুকে সেই গুড়গুড়ি ছাড়া আর তো দামী জিনিষ নেই,—তা সেটা যদি চুরি হ’য়েই থাকে, তাই ব’লেই কি ছেলেকে সন্দেহ?