শশধর। তোমার সন্দেহটা কাকে বউ?
বিধু। কেন? ওঁর তো সেই বড় ভালবাসার উড়ে বেয়ারা আছে বনমালী। তার হাতেই তো ওঁর সব। সে হ’লো ভারী সাধু, ধর্ম্মপুত্র যুধিষ্ঠির। একটু ইসারাতেও বলো দেখি পুলিস দিয়ে তার বাক্সো তল্লাস ক’র্তে, হাঁ হাঁ করে’ মার্তে আস্বেন—সে তো ওঁর ছেলে নয়। ও বেয়ারা, তাই তার পরে এত ভালবাসা।
শশধর। কিছু মনে কোরো না বউ, আমি যাচ্চি, ওকে বুঝিয়ে ব’ল্চি।
সতীশের দ্রুত প্রবেশ
সতীশ। মা, ভয়ানক বিপদ।
বিধু। আবার কি হ’লো? বুকের ধড়ধড়ানি এক মূহুর্ত্তও থাম্তে দিলো না।
সতীশ। সেই যে মতি পাল, যার কাছে টাকা ধার নিয়েছিলুম, সে বাবার কাছে চিঠি দিয়ে লোক পাঠিয়েছে দেখলুম—এতক্ষণে বোধ হয়—
বিধু। সর্ব্বনাশ। যা তুই রায় মশায়কে শীগ্গির আমার কাছে পাঠিয়ে দে, এখনো তিনি যান নি।
মন্মথর প্রবেশ
মন্মথ। এই দেখ চিঠি। পড়ে’ দেখ।
বিধু। না, আমি প’ড়্তে চাইনে।
মন্মথ। প’ড়্তেই হবে।
বিধু। (চিঠি পড়িয়া) তা কি হ’য়েছে?