সে জানে—আমার কাছেই প্রথম এসেছিলো, আমি মন্মথর বাড়িতে তাকে এইমাত্র রওনা ক’রে দিলুম। তুমি সতীশকে শীঘ্র সেখানে পাঠিয়ে দাও।
নলিনী। সতীশ, চা প’ড়ে র’য়েচে, খেয়ে নাও।
সতীশ। আমার ইচ্ছে ক’রচে না।
নলিনী। আমার কথা শোনো, শুধু চা নয়, কিছু খাও। এই নাও রুটি।
সতীশ। মনে বেখো নেলি, গরীব বলেই আমার দানের দাম অনেক বেশি।
নলিনী। দেখো, ও কথা আজ থাক। কাল হবে। এখন তুমি খেয়ে নাও।
সতীশ। তাড়া দিচ্চ কেন—আমার তো আপিস নেই।
নলিনী। চুপ চুপ, কথা কোয়ো না, খাও। আরেকটু খাও। এই নাও।
সতীশ। আর পারচিনে—আমাব হ’য়েচে। আমার খাবার রুচি চ’লে গেছে।
নলিনী। আচ্ছা, তা’হ’লে এসো—শোনো। তোমাকে দরজা পর্য্যন্ত পৌঁছিয়ে দিই।
সতীশ। আমার এমন সৌভাগ্য তো আর কখনো—
নলিনী। চুপ চুপ। চ’লে এসো।
লাহিড়ি ও লাহিড়ির জায়ার প্রবেশ
লাহিড়ি জায়া। সতীশের বাপ হঠাৎ মারা গেছে?
মিষ্টার লাহিড়ি। হাঁ।