শশধর। আঃ, কি বলো। তুমি কি পাগল হ’য়েছো নাকি?
সুকুমারী। আমি পাগল, না, তুমি চোখে দেখ্তে পাও না।
শশধর। কোনটাই আশ্চর্য্য নয়, দুটোই সম্ভব। কিন্তু—
সুকুমারী। আমাদের হরেনেব জন্ম হ’তেই দেখনি ওদেব মুখ কেমন হ’য়ে গেছে। সতীশের ভাবখানা দেখে বুঝতে পার না।
শশধর। আমার অত ভাব বুঝ্বার ক্ষমতা নেই, সে তো তুমি জানোই।
সুকুমারী। সতীশ যখনই আড়ালে পায়, তোমার ছেলেকে মারে, আবার বিধুও তার পিছনে পিছনে এসে খোকাকে জুজুর ভয় দেখায়।
শশধর। ঐ দেখ, তোমরা ছোটো কথাকে বড়ো ক’রে তোলো। যদিই বা সতীশ খোকাকে কখনো—
সুকুমারী। সে তুমি সহ্য় ক’রতে পারো, আমি পারবো না—ছেলেকে তো তোমার গর্ভে ধর্তে হয়নি।
শশধর। সে কথা আমি অস্বীকাব ক’রতে পাববো না। এখন তোমার অভিপ্রায় কি শুনি।
সুকুমারী। শিক্ষা সম্বন্ধ তুমি তো বড়ো বড়ো কথা বলো, একবাব তুমি ভেবে দেখ না, আমরা হরেনকে যে ভাবে শিক্ষা দিতে চাই, তার মাসি তাকে অন্যরূপ শেখায়—সতীশের দৃষ্টান্তটিই বা তার পক্ষে কি রকম, সেটাও তো ভেবে দেখ্তে হয়।
শশধর। তুমি যখন অত বেশি করে’ ভাবচো, তখন তার উপরে আমার আর ভাববার দরকাব কি আছে! এখন কর্ত্তব্য কি বলো?
সুকুমারী। আমি বলি, সতীশকে তুমি বলো, পুরুষ মানুষ পরের পয়সায় বাবুগিরি করে, সে কি ভালো দেখ্তে হয়। আর যার সামর্থ্য কম, তার অত লম্বা চালেই বা দরকার কি?