পঞ্চম দৃশ্য
বাগান
সুকুমারীর প্রবেশ
সুকু। দেখো দেখি, এখন সতীশ কেমন পরিশ্রম করে’ কাজকর্ম্ম ক’রচে। দেখ অতবড় সাহেব বাবু আজকাল পুরোনো কালো আলপাকার চাপকানের উপর কোঁচানো চাদর ঝুলিয়ে কেমন নিয়মিত আফিসে যায়।
শশধর। বড়ো সাহেব সতীশের খুব প্রশংসা করেন।
সুকুমারী। ভালোই তো, যা মাইনে পাবে, তাতেই বেশ চলে’ যাবে। তার উপরে যদি তোমার জমিদারিটা তাকে দিয়ে বসো, তবে একদিনে সে টাই-কলার-জুতা ছড়ি কিনেই সেটা নিলামে চড়িয়ে দেবে। আমার পরামর্শ নিয়ে যদি চ’লতে, তবে সতীশ এত দিনে মানুষের মতো হ’তো।
শশধর। বিধাতা আমাদের বুদ্ধি দেন নি, কিন্তু স্ত্রী দিয়েচেন, আর তোমাদের বুদ্ধি দিয়েচেন, তেমনি সঙ্গে সঙ্গে নির্ব্বোধ স্বামীগুলাকেও তোমাদের হাতে সমর্পণ ক’রেছেন—আমাদেরই জিত।
সুকুমারী। আচ্ছা আচ্ছা, ঢের হয়েচে, ঠাট্টা ক’র্তে হবে না। কিন্তু সতীশের পিছনে এত দিন যে টাকাটা ঢেলেছো, সে যদি আজ থাকতো, তবে—
শশধর। সতীশ তো বলেচে, কোনো-একদিন সে সমস্তই শোখ করে’ দেবে।