নলিনী। কেন, এ তো মন্দ কাপড় নয়।
মিসেস্ লাহিড়ি। কী মনে ক’রবে বল্ তো? ওদের বাড়ীতে সব—
নলিনী। বেহারা হ’য়ে জন্মেচে বলেই কী এত শাস্তি দিতে হবে? বেচাবা মনিব বাড়ীতে চব্বিশ ঘণ্টা যা দেখে, আজ তার থেকে নতুন কিছু দেখে বেঁচে গেল। এত খুসি হ’লো যে বকশিষ চাইতে ভুলে গেলো।
মিসেস লাহিড়ি। চিঠি দিতে এসে আবার বকশিষ চাইবে কী? তোর সব অদ্ভুত কথা।
নলিনী। এমন আশ্চর্য্য চিঠি, মা, তাতে এত—
মিসেস্ লাহিড়ি। এত কী?
নলিনী। সোনালি ক্রেষ্ট আঁকা,—আর তাতে লেখা আছে তিনি স্বয়ং এখানে আসবেন—আমাকে—
মিসেস্ লাহিড়ি। কী ক’রতে?
নলিনী। বেশি আশা ক’রে বোসো না মা। Propose ক’রতে না, আমার জন্মদিনের জন্যে congratulate ক’রতে। সেই বা ক’জনের ভাগ্যে—
মিসেস্ লাহিড়ি। যা আর বকিসনে, শীঘ্র যা, dress ক’রে নে, এখনি লোক আস্তে আরম্ভ হবে। মিষ্টার নন্দী তোর সেই ধুপছায়া রঙের সাড়িটা খুব admire করেন, সেটা—
নলিনী। সে হবে, মা, আমি এখনি যাচ্চি।
মিসেস লাহিড়ি। যাই, হোটেল থেকে খানসামাগুলো এলো কি না দেখিগে।
নলিনী। দেখ্বি? এই দেখ্ চিঠি। সশরীরে আস্বেন্ তার