পাতা:শ্মশান-বাসিনী - কালীকিঙ্কর যশ.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষণপ্ৰভা প্ৰকাশ । や> উভয়ের এই সকল কথোপকথন শুনিয়া মেঘাবতীর সর্বশরীর কঁাপিয়া উঠিল, মন্তক ঘুরিয়া গেল, পলাইবার ইচ্ছায় একবার খিড়কির দিকে ছুটিয়া গেল, দেখিল, সে দরজায় চাবি। চাবি ভাঙ্গিবার জন্য চেষ্টা করিল, তাহা পারিল না, তখন পুনর্বার গৃহ মধ্যে আসিয়া মনে মনে পরম পিতা জগদীশ্বরকে ডাকিতে লাগিল । সে পিঞ্জরাবন্ধ পক্ষিণীর ন্যায় হইয়াছে, কোনরূপে পলাইবার উপায় নাই, আজ চারিধারেই শত্ৰ” সিপাহী । একবার ভাবিল, না হয় গণি মিঞার স্ত্রীর শরণাপন্ন হই, আবার ভাবিল, না-আর অধিক জানাজানি করিব না।-- ভাগ্যে যাহা আছে, তাহাই হইবে। যদি উপায় করিতে পারি। পলাইব, না পারি ছাদ হইতে পড়িয়া মরিব । কিন্তু আর কোন বুদ্ধিই খাটল না। যেমন সন্ধ্যা হইল, অমনি তাহারা পূৰ্ব্বমত আসিয়া বাটী ঘিরিল ! r মেঘাবতী গৃহের দ্বার রুদ্ধ করিল। একব্যক্তি আসিয়া সজোরে দ্বারে আঘাত করিয়া বলিল, “জেনানা ! কেওয়ারি থুল জলদি।” মেঘাবতী ৷ মহাশয় আপনি কে ? উত্তর। কপাট খুলিলেই স্বচক্ষে দেখিতে পাইবে। মেঘাবতী। আপনি কে না বলিলে আমি কপাট খুলিব না। উত্তর খুলিবে না ! সগৰ্ব্বে এই কথা বলিল। মেঘাবতী এক্ষণে অনন্তোপায়-আজ আর রক্ষা নাই । যাহার শরণাগত হইয়াছে, সেই যখন তাহাকে ধরাইয়া দিতেছে। কপাটের নিকটে আসিয়া বলিল, “এত করিয়াও তোমাদিগকে বুঝাইতে পারিলাম না, ছি! এই লাও কপাট খুলিয়া দিলাম।” মেঘাবতী নিৰ্ভয়ে দরজা খুলিয়া পৰ্যাঙ্কোপরি উপবিষ্ট হইল। MSMMS CS YS S S SSAAASASASS