পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কজ্জল হইলেই আমার সৌভাগ্য। পুষ্প-কলিকার ন্যায় আমার স্বামীর স্নেহের দুলাল, ধৰ্ম্মের প্রসাদ এই শিশুটিকে আপনাকে দিয়া গেলাম। ইহাকে আপনি পুত্ৰবৎ পালন করিবেন এবং আপনার পুত্ৰস্থানীয় বলিয়াই পরিচয় দিবেন। ইহার বংশ, বা আমার জীবন-সম্বন্ধে আপনি কিছু জানিতে ঔৎসুক্য দেখাইবেন না। সেরূপ অহেতুক ঔৎসুক্যের কারণ নাই। ইহার ভার • আপনি গ্ৰহণ করিলে, আপনার পক্ষে কোন লজ্জার বিষয় হইবে না। আপনি আমার মৃত্যুকালীন এই উক্তির সমস্তই বিশ্বাস করুন। এই জ্যৈষ্ঠমাসের ১৫ই তারিখে কৃষ্ণা দ্বাদশী তিথিতে ইহার বয়স দুই বৎসর পূর্ণ হইবে। যে দিন ইহার বয়স ২৪ বৎসর পূর্ণ হইবে, সেই দিন ইহার গলার মাদুলী ভাঙ্গিয়া আপনি একটা লিখিত কাগজে ইহার ও আমার সমস্ত বিবরণ পাইবেন । তৎপূর্বে মাদুলী ভাঙ্গিবেন না। আপনি আমাকে এই প্ৰতিশ্রুতি দিন। আমার কণ্ঠরুদ্ধ হইয়া আসিতেছে। আপনি এই সকল সৰ্ত্তে ইহার ভার লাইলেন জানিলে আমি সোয়াস্তির সহিত মরিতে পারিব।” সন্ন্যাসী বলিলেন--“আমরা গৃহাশ্ৰমী নহি । সুতরাং জাতিবর্ণ প্ৰভৃতি কোন বিষয়েই আমাদের বিচার করিবার প্রবৃত্তি নাই। আমি আপনার প্রদত্ত এই ন্যাস আপনার কথিত সৰ্ত্তে গ্ৰহণ করিলাম।” । তাহার পর সেই জীর্ণ কৃষক কুটীরে সাভারের কুলোজল, অনুপমা সুন্দরী জ্যেষ্ঠ রাজ-বধূর প্রাণ আকাশে মিশিয়া গেল। সাভার রাজ্যের চোখের দুলাল, বহুকষ্ট-বহু তপস্যা-লব্ধ ኴምቲ”