পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল এই সকল বিভিন্ন উপকরণে নিৰ্ম্মিত হইলেও বেতের কাজ এত সূক্ষ্ম ও শক্ত যে, ডিঙ্গিগুলি একান্ত হালকা। যুবরাজ ও তাহার দুই সহচর দূরবীণ যোগে যুদ্ধের অবস্থা দেখিয়া সমীপবৰ্ত্ত ‘গোধুয়া” গুলিকে নির্দেশ দিতেছেন। তাহারা তীরের মত বেগে যাইয়া যুদ্ধ-ডিঙ্গিগুলিকে যথাবিহিত উপদেশ জানাইয়া আসিতেছে। কোন কোন “গোধূয়া” লেঠেলে ভিত্তি। তাহারা শত্রুর ডিঙ্গিগুলির অবকাশে প্রবেশ করিয়া, লাফাইয়া জলে পড়িতেছে এবং জলের মধ্যে ডুবিয়া তাহদের মহাশক্তিশালী ভুজপ্রক্ষিপ্ত লাঠির তাড়নায় শত্রুর ডিঙ্গিগুলির তলা ভাঙ্গিয়া ফেলিতেছে। গোধুয়ার অতর্কিত আক্রমণে কত ডিঙ্গা জলের অতল তলে আশ্রয় পাইতেছে। সাত দিনের পরও দেখা গেল, জয় পরাজয় অনিশ্চিত। অথচ প্রত্যেক দিনই সহস্ৰ সহস্র সৈন্য ক্ষয় হইয়া উভয় দলই তুল্যরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হইতেছে। শ্যামল বলিলেন-“এভাবে আমাদের সৈন্য ধ্বংস করিয়া ফল কি ? এতো জয়-পরাজয়ের যুদ্ধ নহে, এ যে শুধু লোক-ক্ষয়ের যুদ্ধ। আমি একটি কথা বলিতে চাই। শত্রুদের বন্দুক ও তীর আছে, তাহার সংখ্যা বেশী হইলেও, সেই সংখ্যার একটা শেষ আছে। ধরুন, সম্মুখে দুই হাজার বন্দুক ও কতকগুলি কামান লইয়া ডিঙ্গির উপর হইতে আমাদিগকে লক্ষ্য করিয়া উহার ছুড়িতেছে, আমরাও তদ্রুপ করিতেছি, ইহাতে উভয় পক্ষেই লোক মরিতেছে। কিন্তু যদি আমাদের পদাতিক সৈন্যের মধ্যে পাঁচ ছয় হাজার লোক বন্দুক বা ধনুক ব্যবহার না করিয়া প্ৰচণ্ড বেগে উহাদের উপর যাইয়া পড়ে, তাহা হইলে উহাদের s