পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কাজল ঠেকাইবে কে? আমাদের কি শক্তি যে, যুদ্ধ নিয়ন্ত্ৰণ করিয়া রাজ্য পরিচালনা করিতে পারি।” তথাপি যুবরাজ ও শ্যামল এই অগ্রযুদ্ধে যাইতে অত্যন্ত পীড়াপীড়ি করিতে লাগিলেন। তখন দুলুই কৈবৰ্ত্ত একটা তীর হাতে করিয়া দাড়াইল, তাহার অগ্রভাগ বিষাক্ত। সে বলিল—“নৌ-যুদ্ধের পরিচালক ও নেতা আমি । মহারাজ এই তরুণদ্বয়কে আমার হাতে সপিয়া দিয়াছেন। আপনার যদি আমার ইচ্ছা না মানিয়া স্বাধীনভাবে কাজ করেন, ও রাষ্ট্রের ভিত নষ্ট করিয়া ফেলেন, তবে এই বিষাক্ত শরা এখনই বুকে বিধাইয়া প্ৰাণত্যাগ করিব।” সেনাপতি, রাজপুত্র ও শ্যামল এই কথায় নিরস্ত হইয়া গেলেন। সাত হাজার তীরন্দাজ, ঢালী ও পদাতিক সেই অগ্র-অভিযানে যাইবার জন্য বুক ঠুকিয়া দাড়াইল । অমাবস্যা রাত্রি, উত্তর দিক হইতে হাঁড়িয়া মেঘ উঠিয়াছে। নিবিড় অন্ধকারে আকাশে পাখীগুলির বিষম কলরব আসন্ন ঝড়ের সূচনা করিতেছে। ধলেশ্বরীর বিপুল তরঙ্গ ডিঙ্গিগুলিকে ক্ষণে ক্ষণে গ্রাস করিয়া যেন আবার মুক্তি দিতেছে। তরঙ্গের সে কি ভীষণ আরাব ! “অট্টহাস” নামক ডিঙ্গির সমুচ্চ দুন্দুভি-নিনাদ ডুবিয়া গিয়াছে, ঝড় ও তরঙ্গের শব্দে বন্দুকের ধ্বনি বিলীন হইয়া গিয়াছে। কামানের গুমগুম শব্দ ঝড়ের সঙ্গে মিশিয়া গিয়াছে। রাত্রি দ্বিপ্রহরের সময় ছয় হাজার আগ্নেয় অস্ত্ৰহীন পদাতিক শুধু ঢাল ও অসি। হস্তে একটা শক্তিশেলের মত বিদ্যুত-গতিতে ডিঙ্গি চালাইয়া লইয়া অগ্রসর হইল। শত্রুর ডিঙ্গিগুলি প্রথমতঃ öS ዓ