পাতা:শ্যামল ও কাজল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্যামল ও কজ্জল বুঝিতেই পারিল না, মহাকায় দৈত্যের ন্যায়, একত্র সন্নিবদ্ধ কি একটা পাগলা মহিষের মত ভীষণ জন্তু দিগ্বিদিক বিবেচনা না করিয়া সম্মুখের দিকে অগ্রসর হইতেছে। দেখিতে দেখিতে বন্দুক ও কামানের গোলা গুলি তাহদের গতিরোধ করিতে চেষ্টা পাইল । কিন্তু যাহারা মৃত্যু-পণ করিয়া আগুয়ান, তাহাদিগকে ঠেকাইবে কে ? শত শত সৈন্য মরিতে লাগিল, আবার শত শত অগ্রসর হইতে লাগিল। গুলি গোলার অন্ত আছে, কিন্তু এই মৃত্যু-পাণ বীরদের সংখ্যার অন্ত নাই। ক্ৰমেই শত্রু পক্ষের গুলির সরঞ্জাম হ্রাস পাইল। এই সময় যেন হঠাৎ পৰ্বত শৃঙ্গ ভাঙ্গিয়া পড়িল। শত সহস্ৰ ঢালী, পদাতিক, বন্দুকী, ও তীরন্দাজ জোকের মত সাভারের সৈন্যদিগকে ঘিরিয়া ধরিল। তাহার রাজবাড়ীতে গুলিগোলা ভত্তি করিয়া আনিতে গিয়াছে; ইহার মধ্যে বাজাসনের কামান ও বন্দুক তাহদের পথ রোধ করিয়া ফেলিয়াছে। সাত হাজার অগ্রগামী সৈন্যের মধ্যে পাচ হাজার মরিয়া গিয়াছে; কিন্তু তাহারাই মৃত্যু দ্বারা তাহাদের বন্ধুদের জয়ের পথ মুক্ত করিয়া দিয়া গিয়াছে। বিরাট গিরি নিঃসৃত ভীষণ বেগ প্রস্রবনের মত এই যে শত শত সৈন্য যাইয়া সাভারের রাঙ্গামাটির উপর উঠিয়া স্বস্তিক চিহ্নযুক্ত বাজাসনের পতাকা প্রোথিত করিল এবং সঙ্গে সঙ্গে বহু কণ্ঠে “জয় মহারাজ দুৰ্জয় সেনের জয়” ঘোষিত হইতে লাগিল, তাহাতে সাভারের মন্ত্রী মহাশয়ের কণ্ঠ ও তালু শুকাইয়া গোল এবং মহারাজ মহেন্দ্ৰ সেন প্ৰমাদ গণিলেন । কিন্তু যুদ্ধ এখানেই থামিল না, তাহারা সাভারে উঠতে - Թե